পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট উৎক্ষেপণে স্পেসএক্স

প্রথমবারের মতো পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট উৎক্ষেপণ করতে যাচ্ছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 March 2017, 10:04 AM
Updated : 30 March 2017, 10:04 AM

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডার কেপ ক্যানাভেরাল থেকে বৃহস্পতিবার রকেটটি উৎক্ষেপণের কথা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির। সফলভাবে রকেটটি উৎক্ষেপণ করা হলে এটি একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। কারণ এই রকেটটি একবার মহাকাশ থেকে সফলভাবে ফিরে এসেছে। আবারও একই রকেট উৎক্ষেপণের জন্য প্রস্তুত হয়েছে স্পেসএক্স।

সিএনএন জানায়, বৃহস্পতিবার রকেটটি আবার উৎক্ষেপণ করা হলে এ দিনই এটির প্রথম স্তর পুনরুদ্ধার করার পরিকল্পনা রয়েছে প্রতিষ্ঠানটির, যাতে করে রকেটটি পরবর্তীতে আবার ব্যবহার করা যেতে পারে।

মহাকাশে অভিযানের বড় অংকের খরচ যায় রকেটের জন্য। কারণ আগে রকেটগুলো শুধু একবারই ব্যবহার করা যেত। এই খরচ কমাতেই পুনঃব্যবহারযোগ্য রকেট তৈরি করে স্পেসএক্স। শুধু স্পেসএক্সই নয় আরেক মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান ব্লু অরিজিনও একই ধরনের রকেট তৈরি করছে বলে জানানো হয়।

ইতোমধ্যেই মঙ্গল গ্রহে মানুষ পাঠানোর জন্যও কাজ করছে স্পেসএক্স এবং ব্লু অরিজিন। এর মধ্যে স্পেসএক্সই এমন প্রথম প্রতিষ্ঠান যারা সফলভাবে রকেট ল্যান্ড করতে পেরেছে এবং তা পুনরায় ব্যবহার করা হচ্ছে।

চলতি বছর মার্চের শুরুতে স্পেসএক্স জানায়, ২০১৮ সালেই দুই মার্কিন নাগরিককে চাঁদের কাছাকাছি ভ্রমণে নিয়ে যাবে প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মার্কিন প্রকৌশলী ইলন মাস্ক বলেন, “৪৫ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো গভীর মহাকাশ থেকে ঘুরে আসার সুযোগ পাচ্ছে মানুষ।” ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি মাস্ক। কেবল জানিয়েছেন যে এই দুইজন পরস্পরকে চেনেন এবং “তারা হলিউড-এর কেউ নন”।

“আগের অ্যাপোলো মহাকাশচারীদের মতোই এই দুইজন মহাকাশে মানবজাতির আশা আর স্বপ্নবাহক হিসেবে যাচ্ছেন। আমরা আশা করছি স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চলতি বছরের পর থেকে তাদেরকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে।”