যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের লিগাল অ্যাটাশে ল্যামোন্ট সিলার ম্যানিলায় এক বিবৃতিতে এমন মন্তব্য করেন, তবে তিনি বিস্তারিত কিছু জানাননি। বিশ্বের অন্যতম বৃহৎ এই সাইবার জালিয়াতির হোতাদের চিহ্নিত করার খুব কাছাকাছি পোঁছে গিয়েছে মার্কিন কর্তৃপক্ষ, সিলার-এর এই মন্তব্যের মাধ্যমে এমন দৃঢ় আভাস পাওয়া যায় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
সাইবার নিরাপত্তাবিষয়ক এক ফোরামে সিলার বলেন, “আমরা সবাই বাংলাদেশ ব্যাংক জালিয়াতির কথা জানি, এটি হচ্ছে ব্যাংকিং খাতে রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায় চালানো আক্রমণের একটি নজির।”
এ খবর প্রকাশের আগের সপ্তাহে ওয়াশিংটনে কর্মকর্তারা এই ঘটনার জন্য উত্তর কোরিয়াকে দায়ী করেছিলেন। এ কর্মকর্তা রয়টার্স-কে জানান, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই ধারণা করছে উত্তর কোরিয়া এই জালিয়াতির জন্য দায়ী ছিল। ওই কর্মকর্তাও বিস্তারিত কিছু জানাননি, বলা হয়েছে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে।
এদিকে, ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে জানায়, এই জালিয়াতি পরিচালনার জন্য উত্তর কোরিয়াকে অভিযুক্ত করবে এমন সম্ভাব্য মামলা তৈরি করছেন মার্কিন কৌসুঁলিরা। এই মামলায় চীনা মধ্যসত্ত্বভোগীদেরও অভিযুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে দৈনিকটি।
২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে হওয়া এই জালিয়াতি নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থাটি। এই জালিয়াতিতে হ্যাকাররা বাংলাদেশ ব্যাংকের সিস্টেম লঙ্ঘন করে ও সুইফট মেসেজিং নেটওয়ার্ক ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যাংকটির নিউ ইয়র্ক ফেড অ্যাকাউন্ট থেকে প্রায় শতকোটি ডলার হাতিয়ে নেয়।
মার্কিন কেন্দ্রীয় ব্যাংক প্রায় সবগুলো অনুরোধ প্রত্যাখ্যান করলেও এগুলোর মধ্যে কিছু অনুরোধ নথিভূক্ত করে। যার ফলে ব্যাংলাদেশ ব্যাংকের অ্যাকাউন্ট থেকে ফিলিপিন্সের ব্যাংক আক্যাউন্টগুলোতে ৮.১ কোটি ডলার চলে যায়। ওই অর্থ খুব জলদি ব্যাংক থেকে তুলে নেওয়া হয় আর পরবর্তীতে দেশটির বিশাল ক্যাসিনো খাতে চলে যায়।
সিলার জানান এফবিআই “এই আক্রমণের জন্য দায়ী ব্যক্তিরা শাস্তি না পেয়েই যাতে বের না হয়ে যায় তা নিশ্চিত করতে” ফিলিপিন্স সরকারের সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করছে। তিনি বলেন, “এফবিআই-এর জন্য, এটি কখনও শেষ হয়নি। আমরা ওই ব্যক্তিদের বিচারের আওতায় আনতে যাচ্ছি যাতে আমরা অন্যদেরও দেখাতে পারি যে আপনারা হয়তো এ ধরনের আক্রমণ চালাতে পারেন, এমনকি রাষ্ট্রীয় পৃষ্ঠপোষকতায়ও, কিন্তু আপনি সবশেষে আপনি এ থেকে পালাতে পারবেন না।”