প্রতিষ্ঠানটি “উইন্ডোজ ১০ আপগ্রেডের নকশা, গঠন আর উৎপাদনে প্রতিষ্ঠানটি যৌক্তিক তদারকি করতে ব্যর্থ হয়েছে ও বাণিজ্যিকভাবে ছেড়ে দিয়েছে”, যুক্তরাষ্ট্রের শিকাগোতে জেলা আদালতে করা মামলায় এমনটাই দাবি করা হয়েছে।
বাদীপক্ষের দাবি, এই সফটওয়্যারে সমস্যা রয়েছে আর ইনস্টলের কারণে কোনো সম্ভাব্য ঝুঁকি নিয়ে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানটি সতর্ক করেনি। অভিযোগে বলা হয়, “তদারকিতে ব্যর্থতার কারণে, প্রতিষ্ঠানটি এমন এক অপারেটিং সিস্টেম বাজারজাত করেছে যা হার্ডওয়্যারের ক্ষতি ও ডেটা হারানোর কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে।”
এই আপগ্রেডের ফলে হাজার হাজার মানুষ ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন বলে দাবি ওই বাদীদের, জানিয়েছেন আইনজীবীরা।
তারা এখন এই মামলাকে একটি ক্লাস অ্যাকশন মামলায় পরিণত করতে চাচ্ছেন। এর ফলে উইন্ডোজ ৭ থেকে আপগ্রেড নিয়ে ৩০ দিনের মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন এমন প্রত্যেক মার্কিন নাগরিক ক্ষতিপূরণে আওতাভূক্ত হবেন।
এই অভিযোগে আপগ্রেড প্রক্রিয়ার সমস্যা নিয়েও কথা বলা হয়েছে। এতে দাবি করা হয়, এটি প্রায়ই “গ্রাহকের কোনো পদক্ষেপ ছাড়াই নিজে নিজে ইনস্টল হয়ে যায়।”
অন্যদিকে, মাইক্রোসফট এসব দাবিকে ‘ভিত্তিহীন’ আখ্যা দিয়ে উড়িয়ে দিয়েছে।
ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট জানায়, মাইক্রোফটের এক মুখপাত্র বলেছেন, “উইন্ডোজ ১০-এর বিনামূল্যের আপগ্রেড প্রোগ্রাম মানুষকে সবচেয়ে নিরাপদ ও উৎপাদনশীল উইন্ডোজ পাওয়ার সহায়তা করতে বানানো হয়েছে।”
“আমরা বিশ্বাস করি বাদীদের এই দাবির কোনো ভিত্তি নেই।”
২০১৬ সালের জুনে ক্যালিফোর্নিয়ার এক নারী উইন্ডোজ ১০ আপগ্রেডের পর তার পিসি নষ্ট হয়ে যাওয়ার অভিযোগ করে ১০ হাজার ডলার জিতেছিলেন।