দেশটির পুলিশ জানিয়েছে, এই ঘটনায় হামলাকারী খালিদ মাসুদ হামলার তিন মিনিট আগে হোয়াটসঅ্যাপে সংযুক্ত ছিলেন। কিন্তু অ্যাপটির এন্ড-টু-এন্ড এনক্রিপশনের কারণে তিনি এতে কী বার্তা আদান প্রদান করেছেন তা জানা যায়নি। তাই হামলাকারীর এনক্রিপটেড ডেটা গোয়ান্দা সংস্থাকে দিতে হোয়াটসঅ্যাপ-কে আহ্বান জানানো হয়েছে-- তথ্য প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট সিনেট-এর।
এর আগে বিবিসির এক সাক্ষাৎকারে রাড জানান, “সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোকে নিশ্চিত করা উচিত যে তারা সন্ত্রাসীদেরকে একে অপরের সঙ্গে যোগাযোগের জন্য গোপন জায়গা দিচ্ছে না।”
ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ-এর রোববারের সংখ্যায় রাড তার এক লেখায় জানান, তিনি গুগল, টুইটার, ফেইসবুক-কে আরও ‘আগে থেকে সক্রিয়’ হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। চলতি সপ্তাহে প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তার দেখা করার কথা রয়েছে।
রাড বলেন, “প্রতিটি আক্রমণ আবারও নিশ্চিত করছে যে ইন্টারনেট সহিংসতার উদ্দীপনা ও উৎসাহ যোগাতে আর সব ধরনের উগ্রপন্থী আদর্শ ছড়িয়ে দিতে ব্যবহৃত হচ্ছে। আমাদের গুগল, টুইটার আর ফেইসবুকের মতো প্রতিষ্ঠানগুলোর সহায়তা দরকার। সহায়তা দরকার টেলিগ্রাম, ওয়ার্ডপ্রেস আর জাস্টপেস্ট ডট ইট-এর মতো ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোরও।”
এনক্রিপটেড ডেটা নিয়ে প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে কোনো দেশের সরকারের এটিই প্রথম দ্বন্দ্ব নয়। এর আগে স্যান বার্নাডিনো হামলাকারী সাইদ ফারুকের আইফোন ৫সি আনলক করতে অ্যাপলের সঙ্গে আইনী লড়াই করেছে সরকার। এছাড়া ২০১৫ সালে সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে লড়াই করতে সিলিকন ভ্যালির প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের সহায়তা চেয়েছেন হিলারি ক্লিনটন।
লন্ডনের ওয়েস্টমিনস্টার সেতুতে ২২ মার্চ এক হামলাকারী পথচারীদের ওপর দিয়ে গাড়ি চালিয়ে দিয়ে পার্লামেন্ট প্রাঙ্গণে প্রবেশ করে এবং ছুরি হাতে নিরাপত্তাকর্মীদের উপর ঝাঁপিয়ে পড়ে। এ ঘটনায় গাড়ি চাপা পড়ে আয়শা ফ্রেড নামে এক নারী এবং যুক্তরাষ্ট্রের পর্যটক কার্ট কোচরান (৫৪) মারা যান। ছুরিকাঘাতে নিহত পুলিশ কর্মকর্তার নাম কিথ পামার। হামলায় আহত ৭৫ বছরের আরেক ব্যক্তি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা গেছেন বলে জানিয়েছে পুলিশ।
হামলাকারী খালিদ মাসুদ পুলিশের গুলিতে নিহত হন। হামলার ঘটনায় জড়িত সন্দেহে এখন পর্যন্ত ৮ জনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।