মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস-এর সূত্রমতে, অ্যাপ স্টোরে সার্চ করার দিক থেকে স্ন্যাপচ্যাট সব প্রতিদ্বন্দ্বীকে ছাড়িয়ে গেছে। এর ফলে মানুষের সবচেয়ে বেশি খোঁজা অ্যাপে পরিণত হয়েছে এটি।
২০১২ সালে প্রতিষ্ঠিত হওয়া স্ন্যাপ ২০১৬ সালে সাড়ে ৫১ কোটি ডলার ক্ষতির মুখে পরে। চলতি মাসে প্রতিষ্ঠানটি মার্কিন শেয়ার বাজারে যাত্রা শুরু করে।
স্ন্যাপচ্যাটের সূত্রমতে, প্রতিদিন ১৫ কোটি ৮০ লাখ মানুষ স্ন্যাপচ্যাটের সেবা ব্যবহার করেন আর এ ক্ষেত্রে তাদের মধ্যে ‘স্ন্যাপ’ তৈরির সংখ্যা আড়াইশ’ কোটি।
আইওএস অ্যাপ স্টোরে সার্চের দিক থেকে স্ন্যাপচ্যাটের পরের স্থান দখল করেছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক-এর মালিকাধীন ইনস্টাগ্রাম, আর ফেইসবুকের অ্যাপ রয়েছে তৃতীয় স্থানে।
চতুর্থ স্থানে আছে গুগলের ভিডিও প্লাটফর্ম ইউটিউব। কিশোরদের দিকে নজর দিয়ে বানানো মেসেজিং স্টার্টআপ কিক পঞ্চম আর মাইক্রোব্লগিং সাইট টুইটারের অ্যাপ ষষ্ঠ অবস্থানে আছে বলে জানা যায়।
২০১৬-তে অ্যাপ স্টোরে ডেভেলপারদের আয় বলা হয়েছে দুই হাজার কোটি মার্কিন ডলার যা আগের বছরের তুলনায় ৪০ শতাংশ বেশি।
অ্যাপলের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ২০১৭-এর ১ জানুয়ারি অ্যাপ স্টোরে সবচেয়ে বেশি বিক্রি হয়েছে। এ দিন গ্রাহকরা রেকর্ড পরিমাণ ২৪ কোটি মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে। বছর থেকে বছরে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জাপান এবং চীনের মতো বর্ধনশীল বাজারগুলোতে আয় বাড়তে দেখা গেছে ৯০ শতাংশ পর্যন্ত।
অ্যাপ স্টোরের এই কর্মক্ষমতায় বিনিয়োগকারীরাও মনযোগ দিয়েছে। কারণ অ্যাপলও এখন পণ্যের পাশাপাশি সেবার দিকে নজর দিয়েছে। তাই আয়ের জন্য প্রতিষ্ঠানটি শুধু নতুন পণ্যের উপরই নির্ভর করছে না।
বর্তমানে অ্যাপ স্টোর থেকে প্রতি ডলার আয়ের ৩০ সেন্ট পায় অ্যাপল। সে হিসাবে আগের বছর প্রতিষ্ঠানটির আয় হয়েছে ৮০০ থেকে ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার, এমনটাই ধারণা করছেন গবেষণা প্রতিষ্ঠান জ্যাকডো রিসার্চ-এর বিশ্লেষক জ্যান ডসন।