বৃহস্পতিবার উবারের আইনজীবী মার্কিন ফেডারেল বিচারককে জানান, তিনি সালিশি রায়ের জন্য পিটিশন জমা দিতে চান-- তথ্য রয়টার্স-এর।
আদালতে প্রচলিত বিচার প্রক্রিয়ায় না গিয়ে সমঝোতার মাধ্যমে মামলা মিমাংসা প্রক্রিয়াকে সালিশ বলা হয়ে থাকে। আইনী লড়াইয়ের চেয়ে দ্রুত এবং কম খরচে মামলা মিমাংসা হয় সালিশ প্রক্রিয়ায়। এতে একজন বিচারক দুই পক্ষের সম্মতিতে বক্তব্য শোনেন ও সিদ্ধান্ত দেন।
বিচার প্রক্রিয়ায় রুল জারি করার একমাত্র অধিকার সালিশি বিচারকের। তবে, একবার সিদ্ধান্ত নেওয়া হলে তাতে আপিলের কোনো সুযোগ নেই।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বাণিজ্যিক গোপন তথ্য এবং প্রযুক্তি চুরির দায়ে উবারের বিরুদ্ধে মামলা করে ওয়েইমো।
উবারের স্বচালিত গাড়ির প্রতিষ্ঠান ‘ওটো’-এর বিরুদ্ধে এ মামলা করে ওয়েইমো। আগের বছর ৭০ কোটি মার্কিন ডলার মূল্যে ওটো নামের এ প্রতিষ্ঠানটিকে কেনে উবার।
মামলায় অভিযোগ আনা হয়েছে ওয়েইমো’র সাবেক ব্যবস্থাপক অ্যান্থনি লেভানডস্কি প্রতিষ্ঠান ছাড়ার সময় এর তথ্য নিয়ে যান। ওয়েইমো ছেড়ে তিনি সহ-প্রতিষ্ঠাতা হিসেবে একটি ভেনচার তৈরি করেন, যা বর্তমানে ‘ওটো-তে পরিণত হয়েছে।
মামলায় বলা হয়, লেভানডস্কি প্রতিষ্ঠান ছাড়ার সময়, “১৪ হাজার অতি গোপনীয় তথ্য এবং নকশার ফাইল ডাউনলোড করেন।”
স্বচালিত গাড়ির জন্য লিডার প্রযুক্তি চুরির অভিযোগও আনা হয়েছে উবারের বিরুদ্ধে। লিডার হল একটি লেজারভিত্তিক রেডার সিস্টেম যা স্বয়ংক্রিয় গাড়ির আশপাশের পরিবেশ পর্যবেক্ষণ করতে সাহায্য করে।
মামলার একদিন পর উবারের পক্ষ থেকে একে ‘ভিত্তিহীন’ দাবি করা হয়। এক বিবৃতিতে উবার-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “আমাদের দল যে উন্নয়ন করেছে তা নিয়ে আমরা দারুণ গর্বিত। আমরা ওয়েইমো’র অভিযোগ বিবেচনা করে দেখেছি এবং আমরা মনে করছি প্রতিযোগীকে থামানোর এটি একটি ভিত্তিহীন চেষ্টা।”
চুরির মামলায় ২৪ মার্চ আদালতে উবারের জবাব দেওয়ার কথা থাকলেও পরে তা পিছিয়ে ৭ এপ্রিল করেন বিচারক।
১০ মার্চ নতুন আরেকটি পেটেন্ট অভিযোগ যোগ করেছে ওয়েইমো। নিজেদের ওই ‘সম্পদ’ ব্যবহার বন্ধ করতে উবারকে অনুরোধও জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। তবে, নতুন করে মামলায় কোন পেটেন্ট যোগ করা হয়েছে তা স্পষ্ট করে বলা হয়নি।
এ মামলায় কী কারণে সালিশি রায় চাচ্ছে উবার তার জবাবে প্রতিষ্ঠানের আইনজীবী আরটুরো গনজালেস বলেন, “এখানে একটি কর্মী চুক্তি রয়েছে যা একটি বৃহৎ সালিশি বিধান। দুই সপ্তাহের মধ্যে আমরা সালিশি বিচারের অনুমতির জন্য আবেদন করবো।”
ওয়েইমো’র আইনজীবী চার্লস ভেরহোভেন নিশ্চিত করেছেন যে, লেভানডস্কি এমন চুক্তিতে সই করেছেন যাতে তথ্য প্রকাশে নিষধাজ্ঞা রয়েছে।