ডিওজে’র আনুষ্ঠানিক ঘোষণায় জানা যায়, অপরাধী হ্যাকারদের সঙ্গে ষড়যন্ত্র করেছিলেন রুশ গুপ্তচর সংস্থা এফএসবি’র ওই সদস্যরা। এর আগে ইয়াহু জানিয়েছিল, ৫০ কোটি গ্রাহক অ্যাকাউন্ট ক্ষতিগ্রস্থ করা ২০১৪ সালের সাইবার আক্রমণের পেছনে ‘রাষ্ট্রীয়-পৃষ্ঠপোষকতা’ থাকা হ্যাকারদের হাত ছিল।
এই অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে গুগল অ্যাকাউন্ট লক্ষ্য করার অভিযোগও আনা হয়েছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
ডিওজি জানায়, নিরাপত্তা, কূটনৈতিক ও সামরিক কর্মকর্তাসহ রাশিয়া ও যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের দিকে এই সাইবার হামলা চালানো হয়।
যুক্তরাষ্ট্রের অ্যাটর্নি জেনারেল ম্যারি ম্যাককর্ড বলেন, “আমরা কোনো ব্যাক্তি, দল, রাষ্ট্র বা তাদের জোটকে আমাদের নাগরিকদের প্রাইভেসি, আমাদের প্রতিষ্ঠানগুলোর অর্থনৈতিক আগ্রহ বা আমাদের দেশের নিরাপত্তা লঙ্ঘন করতে দেব না।”
এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে ডিওজে চার অভিযুক্ত ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেছে। তারা হলেন- ৩৩ বছর বয়সী রুশ নাগরিক ও এফএসবি কর্মকর্তা দিমিত্রি আলেকসান্দ্রোভিচ ডকুশেভ, ৪৩ বছর বয়সী রুশ নাগরিক ও এফসবি কর্মকর্তা ইগর আনাতোলাইয়েভিচ সাসচিন, ২৯ বছর বয়সী রুশ নাগরিক ও অধিবাসী অ্যালেক্সে অ্যালেক্সেইয়েভিচ বেলান, ২২ বছর বয়সী কানাডীয় ও কাজাখ নাগরিক কারিম বারাতোভ, যিনি কানাডায় বসবাস করতেন।
ম্যাককর্ড জানান, অভিযুক্তদের মধ্যে একজন মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের ‘মোস্ট ওয়ান্টেড’ সাইবার অপরাধীদের তালিকায় তিন বছর ধরে আছেন।
২০১৪ সালের এই হ্যাকের ঘটনা ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে প্রকাশ পায়। সে সময় ইয়াহু অ্যাকাউন্টধারীদেরর নাম, ইমেইল অ্যাড্রেস, টেলিফোন নম্বর, জন্ম তারিখ ও সুরক্ষিত পাসওয়ার্ড (হ্যাশ্ড পাসওয়ার্ড) হ্যাকাররা হাতিয়ে নিয়েছে বলে ধারণা করা হয়। তবে, ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বা ক্রেডিট কার্ডের তথ্য এবং অরক্ষিত পাসওয়ার্ড চুরি হয়নি বলে জানায় ইয়াহুর।