সামরিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণে স্পেসএক্স

এবার সামরিক স্যাটেলাইট উৎক্ষেপণের অভিযান হাতে নিয়েছে মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 15 March 2017, 12:01 PM
Updated : 15 March 2017, 12:01 PM

মঙ্গলবার ইউএস এয়ার ফোর্স এক ঘোষণায় জানায়, তারা নতুন প্রজন্মের গ্লোবাল পজিশনিং সিস্টেম (জিপিএস) স্যাটেলাইট ‘জিপিএস ৩’ উৎক্ষেপণের সহায়তার জন্য স্পেসএক্স-এর সঙ্গে ৯.৬৫ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় বা ডিপার্টমেন্ট অফ ডিফেন্স থেকে পাঠানো এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানানো হয়, অন্য আরেকটি প্রতিষ্ঠানকে হারিয়ে এ কাজ পেয়েছে স্পেসএক্স। 

২০১৬ সালের এপ্রিলের মধ্যে এই কাজ সম্পন্ন হবে বলে আশা করা হচ্ছে। ফ্লোরিডায় কেইপ ক্যানাভেরাল এয়ার ফোর্স স্টেশন, টেক্সাসের ম্যাকগ্রেগর ও স্পেসএক্স-এর ক্যালিফোর্নিয়া প্রধান কার্যালয়ে এ নিয়ে সব কাজ সম্পন্ন করা হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।

জিপিএস ৩ স্যাটেলাইট নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশ করা হয়নি, জানানো হয়নি উৎক্ষেপণের তারিখও।

স্পেসএক্স প্রেসিডেন্ট ও প্রধান পরিচালন কর্মকর্তা জিওয়াইনে শটওয়েল এক বিবৃতিতে বলেন, “গুরুত্বপূর্ণ ন্যাশনাল সিকিউরিটি স্পেস মিশন-এ সমর্থন দিতে বাছাই হওয়ায় স্পেসএক্স গর্বিত। মার্কিন এয়ার ফোর্স আমাদের উপর যে আস্থা দেখিয়েছে আমার তার প্রশংসা করি আর সফল  জিপিএস-৩ উৎক্ষেপণ অভিযানের জন্য একত্রে কাজ করতে সামনের দিকে তাকিয়ে আছি।”

চলতি বছর মার্চের শুরুতে স্পেসএক্স জানায়, ২০১৮ সালেই দুই মার্কিন নাগরিককে চাঁদের কাছাকাছি ভ্রমণে নিয়ে যাবে প্রতিষ্ঠানটি। এ নিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রধান নির্বাহী মার্কিন প্রকৌশলী ইলন মাস্ক বলেন, “৪৫ বছরের মধ্যে এই প্রথমবারের মতো গভীর মহাকাশ থেকে ঘুরে আসার সুযোগ পাচ্ছে মানুষ।” ওই দুই ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ করেননি মাস্ক। কেবল জানিয়েছেন যে এই দুইজন পরস্পরকে চেনেন এবং “তারা হলিউড-এর কেউ নন”।

“আগের অ্যাপোলো মহাকাশচারীদের মতোই এই দুইজন মহাকাশে মানবজাতির আশা আর স্বপ্নবাহক হিসেবে যাচ্ছেন। আমরা আশা করছি স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর চলতি বছরের পর থেকে তাদেরকে প্রাথমিক প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হবে।”