এল পূর্ণাঙ্গ বাংলা কি-বোর্ড লজিটেক কে-১২০

আন্তর্জাতিক পরিসরে পূর্ণাঙ্গ বাংলা কি-বোর্ড লজিটেক কে-১২০ উন্মোচন করেছে দেশীয় কম্পিউটার বিক্রেতা প্রতিষ্ঠান কম্পিউটার সোর্স।

সোমবার রাতে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে বিজয় বাংলা’র সর্বশেষ সংস্করণের নকশায় বৈশ্বিক ব্র্যান্ডে এই বাংলা কি-বোর্ড প্রকাশ করা হয় বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। কি-বোর্ডটির মোড়ক উন্মোচন করেন কম্পিউটার সোর্স ব্যবস্থাপনা পরিচালক মাহফুজুল আরিফ, বিজয় বাংলা প্রবর্তক মোস্তাফা জব্বার এবং লজিটেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সার্ক ও ভারত) মনিদ্র জেইন। এ সময় অন্যান্যের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন লজিটেক ভারত ও দক্ষিণ-পশ্চিম এশিয়া অঞ্চলের ক্লাস্টার ক্যাটেগরি বিভাগের প্রধান অশোক জানগ্রা, লজিটেক বাংলাদেশ ও ভূটান অঞ্চলের কান্ট্রি ম্যানেজার পার্থ ঘোষ, কম্পিউটার সোর্স-এর পরিচালক এ ইউ খান জুয়েল, আসিফ মাহমুদ এবং লজিটেক বাংলাদেশের চ্যানেল ম্যানেজার তারেকুল হক।

অনুষ্ঠানে আসিফ মাহমুদ বলেন, “বাংলাভাষী মানুষের সংখ্যা পৃথিবীর অধিকাংশ ভাষার চেয়ে বেশি। কেউ কেউ মনে করেন, ভাষাভাষী মানুষের সংখ্যার বিচারে বাংলার অবস্থান চতুর্থ; আবার অনেকের মতে এই অবস্থানটি পঞ্চম। পৃথিবীর কয়েক হাজার ভাষার মধ্যে চতুর্থ বা পঞ্চম যে কোনো একটি অবস্থানই বাংলা ভাষাভাষী হিসেবে আমাদের জন্য গৌরবের। এই গৌরবকে ধরে রাখতে হলে সর্বস্তরে বিশেষ করে ওয়েব বিশ্বে যান্ত্রিক যোগাযোগ মাধ্যমে বাংলার ব্যবহার বাড়াতে না পারলে-এই যে বিশ্বজুড়ে ৩০ কোটি বাংলাভাষী মানুষ রয়েছে তাদের সংখ্যা ক্রমশই কমতে থাকবে।”

লজিটেক ব্যবস্থাপনা পরিচালক (সার্ক ও ভারত) মনিন্দ্র জেইন বলেন, “দুনিয়া জুড়ে বাংলা ভাষার রয়েছে একটি স্বাতন্ত্র ঐতিহ্য। এই বাংলা ভাষার ঐতিহাসিক অনন্যতার কারণেই প্রতিবছর ২১ ফেব্রুয়ারি বিশ্বজুড়ে পালিত হয় আন্তর্জাতিক মার্তৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষা ও এ দেশের মানুষের ভাষার প্রতি যে ভালোবাসা তার প্রতি সম্মান দেখিয়েই আমরা আন্তর্জাতিক ভাষা ইংরেজির পর প্রথমবারের মতো লজিটেক কে-১২০ বাংলা কি-বোর্ড বাজারজাত শুরু করলাম।”

লজিটেক বাংলাদেশ ও ভূটান অঞ্চলের কান্ট্রি ম্যানেজার পার্থ ঘোষ বলেন, “ব্যবসায় বন্ধু কম্পিউটার সোর্স-এর উদ্যোগে ‘বাংলা’ কি-বোর্ড উপহার দিচ্ছে লজিটেক।”

মোস্তাফা জব্বার বলেন, ‘লজিটেক কে-১২০ বাংলা কি-বোর্ড’ পূর্ণাঙ্গ একটি বাংলা কি-বোর্ড। এটি বিজয়-এর তৃতীয় সংস্করণ। এই কি-বোর্ড বাংলাভাষীদের ঐতিহ্যকে যেমন লালন করছে তেমনি লুপ্ত ভাষা সাহিত্যকে ফিরিয়ে আনতেও অবদান রাখবে।  ইউনিকোড বিধিসম্মত দুই স্তরের এই কি-বোর্ডের মাধ্যমে সংযুক্ত রয়েছে প্রাচীন বাংলার লুপ্ত চিহ্ন ও লিপি। তাই জমির দলিলে থাকা কানা-কড়ির হিসাব যেমন সহজেই লেখা যাবে তেমনি কড়া, গণ্ডার হিসাব কিংবা পুঁথিগুলোকে ডিজিটাল মাধ্যমে সংরক্ষণ করা সম্ভব হবে। একইসঙ্গে এই কি-বোর্ডটি বাংলা লিপি ব্যবহারকারী অসমীয়া, মনিপুর, নাগা, চাকমারাও ব্যবহার করতে পারবেন।”