অভিযোগ অস্বীকার করলেন স্যামসাং প্রধান

নিজের বিরুদ্ধে আনা সকল মামলার অভিযোগ অস্বীকার করেছেন ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাতা দক্ষিণ কোরীয় প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের প্রধান  লি জে ইয়ং।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 9 March 2017, 11:13 AM
Updated : 9 March 2017, 11:13 AM

বুধবার আদালতে শুনানিতে লি-এর আইনজীবি তার উদ্বোধনী বক্তব্যে অভিযোগ অস্বীকারের বিষয়টি জানান, তথ্য রয়টার্স-এর।

চলতি বছরের ১৭ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির অভিযোগে লি-কে গ্রেফতার করা হয়। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই যে কেলেঙ্কারিতে অভিশংসনের শিকার হয়েছিলেন তার সঙ্গে জি ইয়ংয়ের মামলার সম্পর্ক রয়েছে।

সিউল ডিটেনশন সেন্টারে স্যামসাং প্রধানের মামলাটি পরিচালনা করা হচ্ছে। বুধবার শুনানির সময় সেখানে উপস্থিত ছিলেন না লি। প্রস্তুতিমূলক এ শুনানিতে বিবাদী পক্ষের কারও উপস্থিতিও জরুরী ছিল না। মামলার প্রমাণ ও সাক্ষ্য গ্রহণের তারিখ ঠিক করার জন্যই এ শুনানি দেওয়া হয়।

শুনানির সময় লি-এর এক আইনজীবি জানান, “এটি অস্পষ্ট যে লি জে ইয়ং-এর ওপর কী ধরনের আদেশ আনা হবে।”

স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে সরকারি সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাইয়ের বান্ধবী চোই সুন সিল পরিচালিত ফাউন্ডেশনগুলোতে অনুদান দেওয়ার অভিযোগ আছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জি ইয়ং ও তার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

স্যামসাংয়ের চেয়ারম্যান লি কুন হি’র ছেলে এবং প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা লি জি ইয়ং কে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জানুয়ারিতে। তবে তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

পরবর্তীতে ফেব্রুয়ারিতে তাকে দ্বিতীয়বারের মতো জিজ্ঞাসাবাদের জন্য নেওয়া হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালত নতুন অপরাধের অভিযোগ এবং নতুন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে জি ইয়ংকে গ্রেপ্তার করা জরুরি বলে মত দেয়।

২০১৪ সালে স্যামসাং চেয়ারম্যান লি কুন হি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কার্যত অবসরে যাওয়ার পর পুরো স্যামসাং গ্রুপ এখন পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যচ্ছে। এই পুনর্গঠনের লক্ষ্য হল চেয়ারম্যানের ছেলে জি ইয়ংয়ের পথ পরিষ্কার করা যাতে তিনি প্রতিষ্ঠানের হাল ধরতে পারেন। জি ইয়ং বর্তমানে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের ভাইস চেয়ারম্যান হলেও বাবার অবর্তমানে তিনিই স্যামসাং গ্রুপের প্রধান হিসেবে বিবেচিত। তার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বড় ধাক্কা।

জি ইয়ংকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রতিষ্ঠান স্বল্পমেয়াদে কোনও সমস্যায় না পড়লেও দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।