টিভি অনুষ্ঠান দেখাবে ফেইসবুক?

টিভি অনুষ্ঠানের মতো ভিডিও কেনার দিকে ঝুঁকছে বিশ্বের সবচেয়ে বড় সামাজিক মাধ্যম ফেইসবুক, ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল এক প্রতিবেদনে এমনটা জানিয়েছে।

ফয়সাল ইসলামবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 5 March 2017, 02:16 PM
Updated : 5 March 2017, 02:16 PM

এখন প্রশ্ন হচ্ছে ফেইসবুকের এই অনুষ্ঠানগুলো কেমন হবে? ফেইসবুক সাপ্তাহিক অনুষ্ঠানের দিকেই বেশি জোর দিচ্ছে, যেখানে “প্রতিটি পর্বের দৈর্ঘ্য হবে ৩০ মিনিট করে”, জার্নালের বরাতে জানিয়েছে ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন সাইট বিজনেস ইনসাইডার। এসব অনুষ্ঠান খেলাধুলা থেকে শুরু করে বিজ্ঞান, গেইমিংয়ের  মতো বিভিন্ন বিষয় নিয়ে হবে।

এক সূত্রের বরাতে সাইটটি জানায়, এ সব অনুষ্ঠানের জন্য ফেইসবুক ‘প্রিমিয়াম ডিজিটাল রেট’ প্রদান করবে। অর্থাৎ প্রতিটি পর্বের জন্য একদম নিম্ন থেকে শুরু করে ছয় অংক পর্যন্ত অর্থ প্রদান করা হবে। তবে এই মূল্য কোনো গতানুগতিক টিভি চ্যানেল বা নেটফ্লিক্স-এর চেয়ে অনেক কম।

চলতি বছর ফেব্রুয়ারিতে ফেইসবুকের প্রধান অর্থ কর্মকর্তা ডেভিড উইনার এক বিবৃতিতে বলেন, “আমরা এখানে থাকা বাস্তুতন্ত্রেই মনোযোগ দিচ্ছি।” ফেইসবুক বিভিন্ন অনুষ্ঠান লাইসেন্স করবে, যা এই বাস্তুতন্ত্রে বীজবপনের মতো বলেও মত দেন তিনি।

ফেইসবুক ভিডিওর ভবিষ্যৎ:

ফেব্রুয়ারিতে ফেইসবুক প্রধান মার্ক জাকারবার্গ ফেইসবুক ভিডিও’র ভবিষ্যৎ নিয়ে তার পরিকল্পনা তুলে ধরেন। এক বিবৃতিতে তিনি জানান, ছোট আকৃতির ভিডিও আর কনটেন্ট নির্মাতাদের সঙ্গে বিজ্ঞাপনী আয় ভাগ করে নেওয়ার দিকেই তার প্রতিষ্ঠানের নজর বেশি থাকবে। ছোট আকৃতির ভিডিওর দিকে মনোযোগ দেওয়ার এ বিষয়টি ফেইসবুক ভিডিওকে নেটফ্লিক্স, এইচবিও বা অন্যান্য কেবল টিভি থেকে একটি আলাদা বৈশিষ্ট্য প্রদান করবে।

জাকারবার্গ আরও জানান, তিনি আশা করেন এমন ‘প্রিমিয়াম’ ভিডিও প্রদর্শনীর অনেক বড় একটি ভবিষ্যৎ আছে। তার এই বক্তব্য থেকে বোঝা যায়- তিনি টিভি বিজ্ঞাপনের জন্য যে প্রচুর অর্থ ব্যয় করা হয় তার দিকেই দৃষ্টিপাত করছেন।

এ ক্ষেত্রে ইউটিউবের সুযোগ অনেক বেশি আর তারা এ নিয়ে চেষ্টাও চালাচ্ছে। তারা যে কোনো আকৃতির অনুষ্ঠান প্রচার করতে পারে। যে কোনো বিজ্ঞাপন থেকে শুরু করে কোনো প্রিমিয়াম অনুষ্ঠানও কিনে তারা প্রদর্শন করতে পারে।

সাইটটিতে আরও বলা হয়, টিভি বিজ্ঞাপনের বাজেট খুব ধীরেই এই ডিজিটাল প্লাটফর্মে প্রবেশ করছে। সেই সঙ্গে ফেইসবুক, ইউটিউব, স্ন্যাপ-এর মতো প্রতিষ্ঠানগুলো এ প্রক্রিয়া ত্বরান্বিত করে বিশ্বব্যাপি ২০ হাজার ডলারের এ বাজার শীঘ্রই ধরতে যাচ্ছে।