এই বৃদ্ধি থেকে বোঝা যায়, গ্রাহকরা মিউজিক কেনার চেয়ে অর্থ পরিশোধ করে সব শোনার সেবা নিতে বেশি আগ্রহী হয়ে উঠছেন, জানিয়েছে প্রযুক্তি সাইট সিনেট। এই খাতে শুরুর দিকের প্রতিষ্ঠান হিসেবে ব্যবসায় বৃদ্ধি করেই যাচ্ছে স্পটিফাই আর অ্যাপল মিউজিক। এক্ষেত্রে অ্যাপল মিউজিক বিপনণ আর হিট অ্যালবামগুলোর দিকে বেশি জোর দিতে থাকলেও, স্পটিফাইয়ের নজর মূল্যের দিকে, বিজ্ঞাপন দিয়ে আয় করে মূল ফিচারগুলো বিনামূল্যেই দিচ্ছে তারা।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে অ্যাপল মিউজিক জানায় তাদের গ্রাহক সংখ্যা দুই কোটি হয়েছে। সে সময়ের শেষ তিন মাসে ৩০ লাখ গ্রাহক যোগ হয় বলে তারা জানায়।
২০১৬ সালে প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠান সাউন্ডক্লাউড-কে কিনতে আগ্রহ প্রকাশ করে স্পটিফাই। সে বছর সেপ্টেম্বরে ফিনান্সিয়াল টাইমস এক প্রতিবেদনে জানায়, ক্রয়চুক্তি নিয়ে এই দুই ইউরোপীয় প্রতিষ্ঠানের মধ্যে আলোচনা চলছে। পরে ওই আলোচনা আর আগায়নি।
কেন স্পটিফাই সাউন্ডক্লাউড-কে কেনা থেকে সরে এল- এমন প্রশ্নের ব্যাখ্যায় প্রযুক্তি সাইট টেকক্রাঞ্চ-কে এক সূত্র বলে, “সম্ভাব্য আইপিও বছরে বাড়তি লাইসেন্সিংয়ের মাথাব্যথা নেওয়ার প্রয়োজন নেই প্রতিষ্ঠানটির।”
এদিকে, চলতি বছর জানুয়ারিতে আরেক সঙ্গীত স্ট্রিমিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান টাইডাল-এর বিরুদ্ধে মোট ব্যবহারকারীর তুলনায় অতিরিক্ত সংখ্যা প্রদর্শনের অভিযোগ আনা হয়।