এই সেবা মার্কিন কেবল নেটওয়ার্ক সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করবে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
নতুন এই সেবার মাধ্যমে ইউটিউব ৪০টি চ্যানেল সরবরাহ করবে। এর মধ্যে এবিসি, সিবিএস, ফক্স, এনবিসি এবং ইএসপিএন-এর মতো ‘বড়’ কিছু চ্যানেলও থাকবে- বলা হয়েছে সংবাদমাধ্যমটির প্রতিবেদনে।
ইউটিউবের এই সেবায় ‘ক্লাউড ডিভিআর’ ফিচারও থাকছে, যার মাধ্যমে কোনো অনুষ্ঠান পরে দেখার জন্য রেকর্ড করে রাখা যাবে।
এ বিষয়ে একজন বিশ্লষক বিবিসি-কে জানান, ইউটিউবের এই সিদ্ধান্তের ফলে যুক্তরাষ্ট্রের কেবল অপারেটররা বিপদে পড়তে পারে। বাজার বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান ইমার্কেটিয়ার-এর পল ভার্না বলেন, “ইউটিউব ইতোমধ্যেই অনেক প্রতিষ্ঠিত একটি ভিডিও ব্র্যান্ড। এর অ্যাপ ভার্চুয়ালি সবার কাছেই রয়েছে।”
ইউটিউব-এর পণ্য ব্যবস্থাপনা পরিচালক ক্রিস্টিয়ান অয়েস্টলিন এক বিবৃতিতে বলেন, “এর লাইভ টিভি’র ডিজাইন করা হয়েছে ইউটিউব প্রজন্মের উপযোগী করে। একজন দর্শক ঠিক যেমন অনুষ্ঠান দেখতে চায় এবং অনুষ্ঠানটি তিনি যখন এবং যেভাবে দেখতে চান ঠিক সেভাবেই দেখার সুযোগ আছে এই ব্যবস্থায়।”
চলতি বছর বসন্তের শেষ নাগাদ সার্ভিসটি চালু হবে ধারণা করা হচ্ছে। স্মার্ট টিভির এই অ্যাপ্লিকেশনটি মোবাইল ডিভাইসেও দেখা যাবে। তবে আপাতত এইচবিও, সিএনএন এবং এএমসি-এর মতো ‘বড়’ কিছু চ্যানেল এখানে থাকছে না বলে জানিয়েছে বিবিসি। এই সেবা এখন শুধু যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যেই সীমাবদ্ধ থাকবে।
ইউটিউব খুব ধীরে ধীরেই এই বিশাল বাজারে প্রবেশ করছে। ইতোমধ্যেই আরও স্ট্রিমিং কেবল সেবা চালু হয়েছে। মার্কিন টেলিযোগাযোগ অপারেটর এটিঅ্যান্ডটি মালিকানাধীন ডাইরেক্টটিভি ১২০টি চ্যানেল নিয়ে এই সেবা দিচ্ছে। তবে, তার মাসিক চার্জ ৭০ ডলার, যা ইউটিউব-এর তুলনায় বেশি।