রোববার চাও জানান, তিনি সাবেক প্রশাসনের নীতিমালা পুনরায় খতিয়ে দেখছেন এবং গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বচালিত গাড়িতে সন্দেহপ্রবন মানুষের কী লাভ হবে তার ব্যাখ্যা দিতে বলা হয়েছে।
আগের বছর সেপ্টেম্বরে দেশটিতে স্বচালিত গাড়ির নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করে ওবামা প্রশাসন। এ সময় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে স্বইচ্ছায় ১৫টি ‘নিরাপত্তা’ পয়েন্ট উল্লেখ করে নীতি নির্ধারকদের কাছে বিস্তারিত জমা দিতে বলা হয়। নতুন নীতিমালার পর তা গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর চিন্তার বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। এর কারণে তাদের পরীক্ষা মাসের পর মাস বিলম্বিত হতে পারে বলে আশংকা প্রকাশ করা হয়।
নভেম্বরে মূল গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো ট্রাম্প-এর কাছে ক্ষমতায় আসার পর নীতিমালা পুনরায় বিবেচনা করতে আহ্বান জানায়। চলতি মাসের শুরুতে স্বচালিত গাড়ির উন্নয়নের গতি বাড়াতে একটি সম্মেলনও করে গাড়িনির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো।
“এই প্রশাসন নীতামালা বিবেচনা করছে এবং এতে আপডেট ও সংশোধন করতে আপনাদের এবং অন্যান্য শেয়ারধারীর সঙ্গে পরামর্শ করবে,” বলেন চাও।
তিনি আরও জানান, স্বচালিত গাড়ি নাটকীয়ভাবে নিরাপত্তার উন্নয়ন করতে পারে। এতে দুর্ঘটনার হার কমতে পারে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
২০১৫ সালে যুক্তরাষ্ট্রে ট্রাফিক দুর্ঘটনায় ৩৫০৯২ জন প্রাণ হারান। ওই বছর দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে সাত শতাংশ যা ১৯৬৬ সালের পর সবচেয়ে বেশি। আর ২০১৬ সালের প্রথম ৯ মাসে সড়ক দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার বেড়েছে আট শতাংশ।
চাও জানান, “ট্রাফিক দুর্ঘটনার ৯৪ শতাংশই মানুষের ভুল। এ প্রযুক্তি আনার পক্ষে অনেক যুক্তি রয়েছে।”
গুগলের ওইয়েইমো, ফোর্ড, উবার, টেসলাসহ বিশ্বের শীর্ষস্থানীয় গাড়ি নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলো এখন স্বচালিত গাড়ির উন্নয়নে কাজ করছে।