মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছেছে স্পেসএক্স ড্রাগন

ত্রুটির কারণে একদিন বিলম্বের পর দ্বিতীয়বারে সফলভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছেছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান স্পেসএক্স-এর ড্রাগন ক্যাপসিউল।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 25 Feb 2017, 11:38 AM
Updated : 25 Feb 2017, 11:38 AM

একদিন আগেই মহাকাশযানটি কেন্দ্রে পৌঁছানোর কথা থাকলেও জিপিএস ত্রুটির কারণে প্রথমদিন এটি ব্যর্থ হয়।  মহাকাশ কেন্দ্র থেকে প্রায় এক মাইল দূরে অবস্থান করে এটি। পরেরদিন আবার চেষ্টা করা হলে এটি সফলভাবে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছায়, জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেন্ডেন্ট।

কেন্দ্রে পৌঁছানোর সময় এটি অস্ট্রেলিয়ার ওপরে মহাকাশে ভাসমান ছিল। দ্বিতীয় চেষ্টায় মহাকাশ কেন্দ্রের নভোচারীরা এটির ৫৭ ফুট দীর্ঘ রোবোটিক হাত দিয়ে ক্যাপসিউলটি ধরতে সক্ষম হন।

ড্রাগন মহাকাশযানটিতে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত নভোচারীদের জন্য পাঁচ হাজার পাউন্ড কার্গো এবং পরীক্ষার যন্ত্রাদি প্রেরণ করা হয়। বর্তমানে সেখানে ছয়জন নভোচারী রয়েছেন। এর মধ্যে দুই জন যুক্তরাষ্ট্রের, তিনজন রাশিয়া এবং একজন ফরাসী।

যানটি কেন্দ্রে পৌঁছানোর সঙ্গে সঙ্গে সেখান থেকে প্রয়োজনীয় জিনিসপত্র বের করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে নভোচারীদের। সামনের এক মাস যানটি মহাকাশ কেন্দ্রেই থাকবে। পরবর্তীতে মহাকাশ গবেষণার তথ্য নিয়ে এটি ভূমিতে ফিরবে।

সামনের শুক্রবারে আরেকটি সরবরাহ যান পৌঁছাবে মহাকাশ কেন্দ্রে। এবারের যানটি আসবে রাশিয়া থেকে।

ড্রগান যানটি ঠিকভাবে পৌঁছানোর পর মিশন কন্ট্রোল-এর পক্ষ থেকে বলা হয়, “বিলম্বের জন্য দুঃখিত। এখন মূল কাজ শুরু হবে।”

আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে  অবস্থানরত ফরাসী নভোচারী থমাস পেসকুয়ে বলেন, “পৃথিবী থেকে সফল যাত্রার জন্য ড্রাগন-কে অভিনন্দন এবং কেন্দ্রে এটিকে স্বাগত।”

কার্গোতে পাঠানো গবেষণার বস্তুর মধ্যে ২০টি ইঁদুরও রয়েছে। মহাকাশে আঘাত পেলে সেগুলো কিভাবে ক্ষত থেকে সেরে ওঠে সেটিই পরীক্ষা করা হবে। একই গবেষণায় পৃথিবীতেও ২০টি ইঁদুর ব্যবহার করা হচ্ছে।

এর আগে স্পেসএক্স-এর এই রকেট উৎক্ষেপণকে ঐতিহাসিক তকমা দেওয়া হয়, কারণ ২০১১ সালের জুলাইয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা’র স্পেস শাটল অবসরে যাওয়ার পর এখান থেকে আর কোনো রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়নি। ২০১১-এর পর রোববার স্পেসএক্স-এর এটি ছিল কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯-এর প্রথম রকেট উৎক্ষেপণ, জানিয়েছে সিএনএন।

একদিন আগেই রকেটটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল স্পেসএক্স-এর। কিন্তু শেষ মুহুর্তে তা বাতিল করা হয়।

এই কমপ্লেক্স ৩৯ থেকেই চাঁদে অ্যাপোলো মিশন পাঠানো হয়েছিল। এবার এখান থেকেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ড্রাগন নামের মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে।