পদত্যাগে স্যামসাংয়ের দুই নির্বাহী কর্মকর্তা

দক্ষিণ কোরীয় ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির মামলায় দায় স্বীকার করতে পদত্যাগের প্রস্তাব করেছেন প্রতিষ্ঠানটির দুই নির্বাহী কর্মকর্তা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 24 Feb 2017, 01:40 PM
Updated : 24 Feb 2017, 01:40 PM

দেশটির স্থানীয় সংবাদ সংস্থা ইয়নহাপ, জানায় দুর্নীতির মামলায় স্যামসাংয়ের ভাইস চেয়ারম্যান চই গি-সাং এবং প্রেসিডেন্ট চ্যাং চং-গি পদত্যাগের অফার দিয়েছেন। তবে, খবরের কোনো সূত্র প্রকাশ করেনি সংবাদ সংস্থাটি।

রয়টার্স জানিয়েছে, তাদের দুইজনকে চলমান দুর্নীতির মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে চিহ্নিত করেছে দেশটির  বিশেষ আদালত। তবে, ইয়নহাপ-এর প্রতিবেদনে জানানো হয়নি তারা আনুষ্ঠানিকভাবে কোনো পদত্যাগ পত্র জমা দিয়েছেন কিনা।

প্রতিবেদনের ব্যাপারে স্যামসাংয়ের পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক কোনো মন্তব্য করা হয়নি।

১৭ ফেব্রুয়ারি দুর্নীতির অভিযোগে স্যামসাং প্রধান লি জি ইয়ংকে গ্রেপ্তার করে দেশটির পুলিশ। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাই যে কেলেঙ্কারিতে অভিশংসনের শিকার হয়েছিলেন তার সঙ্গে জি ইয়ংয়ের মামলার সম্পর্ক রয়েছে।

স্যামসাংয়ের বিরুদ্ধে সরকারি সুযোগ-সুবিধার বিনিময়ে প্রেসিডেন্ট পার্ক জিউন হাইয়ের বান্ধবী চোই সুন সিল পরিচালিত ফাউন্ডেশনগুলোতে অনুদান দেওয়ার অভিযোগ আছে। তবে এ অভিযোগ অস্বীকার করেছেন জি ইয়ং ও তার প্রতিষ্ঠান স্যামসাং।

স্যামসাংয়ের কর্ণধার লি কুন হি’র ছেলে এবং প্রতিষ্ঠানটির ভারপ্রাপ্ত প্রধান কর্মকর্তা লি জি ইয়ং কে প্রথম জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় জানুয়ারিতে। তবে তখন তাকে গ্রেপ্তার করা হয়নি।

সম্প্রতি দ্বিতীয়বারের মতো তাকে জেরা করা হয়। ১৭ ফেব্রুয়ারি আদালত নতুন অপরাধের অভিযোগ এবং নতুন তথ্যপ্রমাণের ভিত্তিতে জি ইয়ংকে গ্রেপ্তার করা জরুরি বলে মত দেয়।

২০১৪ সালে স্যামসাং চেয়ারম্যান লি কুন হি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে কার্যত অবসরে যাওয়ার পর পুরো স্যামসাং গ্রুপ এখন পুনর্গঠনের মধ্য দিয়ে যচ্ছে। এই পুনর্গঠনের লক্ষ হল চেয়ারম্যানের ছেলে জি ইয়ংয়ের পথ পরিষ্কার করা যাতে তিনি প্রতিষ্ঠানের হাল ধরতে পারেন। জি ইয়ং বর্তমানে স্যামসাং ইলেক্ট্রনিক্সের ভাইস চেয়ারম্যান হলেও বাবার অবর্তমানে তিনিই স্যামসাং গ্রুপের প্রধান হিসাবে বিবেচিত। তার বিচারের কাঠগড়ায় দাঁড়ানো প্রতিষ্ঠানের জন্য একটি বড় ধাক্কা।

তাকে গ্রেপ্তারের ঘটনায় প্রতিষ্ঠান স্বল্পমেয়াদে কোনও সমস্যায় না পড়লেও দীর্ঘমেয়াদে প্রতিষ্ঠানের উৎপাদনে ক্ষতিকর প্রভাব পড়বে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।