রোববার ২৪ ঘন্টা বিলম্বের পর সফলভাবে ফ্যালকন ৯ রকেট উৎক্ষেপণ করে স্পেসএক্স। প্রতিষ্ঠানের ড্রাগন ক্যাপসিউলের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে অবস্থানরত নভোচারীদের জন্য পাঁচ হাজার পাউন্ড কার্গো এবং পরীক্ষার যন্ত্রাদি প্রেরণ করা হয়।
মহাকাশে গিয়ে আজ সকালে জিপিএস গোলযোগের কারণে তা আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে পৌঁছাতে ব্যর্থ হয়। কেন্দ্র থেকে প্রায় এক মাইল দূরে রয়েছে ড্রাগন, জানিয়েছে প্রযুক্তিবিষয়ক সাইট টেকক্রাঞ্চ।
নাসা’র পক্ষ থেকে নিশ্চিত করা হয়েছে ড্রাগন মহাকাশযান এবং আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনের নভোচারীরা নিরাপদে আছেন। বৃহস্পতিবার যানটি নির্দিষ্ট স্থানে পাঠানোর জন্য পুনরায় চেষ্টা করা হবে বলে জানানো হয়।
এর আগে স্পেসএক্স-এর এই রকেট উৎক্ষেপণকে ঐতিহাসিক তকমা দেওয়া হয়, কারণ ২০১১ সালের জুলাইয়ে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান নাসা’র স্পেস শাটল অবসরে যাওয়ার পর এখান থেকে আর কোনো রকেট উৎক্ষেপণ করা হয়নি। ২০১১-এর পর রোববার স্পেসএক্স-এর এটি ছিল কেনেডি স্পেস সেন্টারের লঞ্চ কমপ্লেক্স ৩৯-এর প্রথম রকেট উৎক্ষেপণ, জানিয়েছে সিএনএন।
একদিন আগেই রকেটটি উৎক্ষেপণের কথা ছিল স্পেসএক্স-এর। কিন্তু শেষ মুহুর্তে তা বাতিল করা হয়।
রোববারের ঘটনাটি আরও একটি কারণে ঐতিহাসিক। আগের বছর ১ সেপ্টেম্বর কেনেডি স্পেস সেন্টারে স্পেসএক্স-এর ফ্যালকন ৯ রকেট বিধ্বস্ত হওয়ার পর এটিই প্রতিষ্ঠানটির প্রথম সফল রকেট উৎক্ষেপণ।
কমপ্লেক্স ৩৯ থেকেই চাঁদে অ্যাপোলো মিশন পাঠানো হয়েছিল। এবার এখান থেকেই আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ড্রাগন নামের মহাকাশযান পাঠানো হয়েছে।
বর্তমানে আন্তর্জাতিক মহাকাশ কেন্দ্রে ছয়জন নভোচারী রয়েছেন। এর মধ্যে দুই জন যুক্তরাষ্ট্রের, তিনজন রাশিয়া এবং একজন ফরাসী।
তারা মহাকাশ কেন্দ্রের ৫৭ ফুট লম্বা রোবটিক হাত দিয়ে ড্রাগন যানটি ধরবেন বলে জানানো হয়েছে।