আদালতে দাখিলকৃত নথিতে সংবাদ সংস্থাগুলোর দাবি, এফবিআইয়ের এই তথ্য প্রকাশ এড়িয়ে যাওয়ার কোনো ‘পর্যাপ্ত যৌক্তিকতা নেই’। তারা এমন কোনো তথ্য চায়নি যা জাতীয় নিরাপত্তায় কোনো হুমকি হয়ে দাঁড়াবে, সংস্থাগুলো এমনটাও উল্লেখ করে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
২০১৬ সালের এই তথ্য প্রকাশ নিয়ে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআইয়ের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করে অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস, ভাইস মিডিয়া এবং গ্যামেট। সংবাদ সংস্থাগুলোর কাছ থেকে আসা এ সংক্রান্ত প্রশ্ন এফবিআই প্রত্যাখ্যানের কয়েক মাস পর এই মামলা দায়ের করা হয়।
২০১৫ সালের ডিসেম্বরে সান বার্নাডিনোর এক প্রতিবন্ধী সেবা কেন্দ্রে গুলি চালিয়ে ১৪ জনকে হত্যা করেন সৈয়দ রিজওয়ান ফারুক ও তার স্ত্রী তাশফিন মালিক। পরে পুলিশের গুলিতে তারা নিহত হন। আইফোন এনক্রিপশনের ক্ষেত্রে অ্যাপলকে আইনগতভাবে বাধ্য করা উচিৎ হবে কিনা তা ছিল এফবিআই ও অ্যাপলের এ আইনি লড়াইয়ের প্রধান বিষয়। এ লড়াইয়ে প্রযুক্তি শিল্পের বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানই অ্যাপলকে সমর্থন জানিয়েছিল। তাদের মতে কর্তৃপক্ষের এমন ফিচার ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তাকে দুর্বল করে দেবে। অপর দিকে সরকারি কর্মকর্তাদের মত ছিল- তারা আইফোনে ‘অ্যাকসেস’ করে তথ্য সংগ্রহ করতে পারছে না বলে এ সংক্রান্ত সকল প্রকার তদন্ত পঙ্গু হয়ে যাবে।
আদালতের আদেশে এফবিআই-এর জন্য অ্যাপল-কে একটি 'ব্যাকডোর' তৈরি করে দিতে বলা হয়, আর এতে কোনোভাবেই অ্যাপল রাজি না হলে, শেষ পর্যন্ত ২০১৬ সালের মার্চে নিজেরাই 'তৃতীয় পক্ষের' সহায়তায় আইফোনটি খুলতে 'সক্ষম' হয়েছে বলে জানায় এফবিআই। এফবিআই নিজেরাই আইফোনে ‘অ্যাকসেস’ করতে পেরেছে জানিয়ে বিচার বিভাগের কর্মকর্তারা আদালতের ওই আদেশ প্রত্যাহারের অনুরোধ করেন। প্রসিকিউটররা জানান, ‘বাইরের একটি দল’ অ্যাপলের সাহায্য ছাড়াই আইফোন ‘আনলক’ করার একটি পদ্ধতি বের করেছে।
সে সময় এফবিআই যে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান অথবা হ্যাকার দল ব্যবহার করে আইফোনটি খোলার চেষ্টা করছে তাদের কোনো নাম প্রকাশ করেনি।
২০১৬ সালের এপ্রিলে এক প্রতিবেদনে জানা যায়, স্যান বার্নার্ডিনো হত্যাকাণ্ডে জড়িত এক বন্দুকধারীর এনক্রিপ্টেড আইফোন আনলক করতে কমপক্ষে ১৩ লাখ ডলার ব্যয় করেছে মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থা এফবিআই।