ব্রিটিশ দৈনিক টেলিগ্রাফ-এর বরাতে আইএএনএস জানায়, ব্রিটেনের ইনটেলেকচুয়াল প্রপার্টি অফিস (আইপিও) অবৈধ ওয়েবসাইটগুলোতে ট্রাফিক নিয়ে যাওয়া বন্ধের লক্ষ্যে এই নীতিমালা বানিয়েছে।
এই নীতিমালা অনুযায়ী, গুগল আর বিং-কে অবশ্যই কপিরাইট লঙ্ঘনের অভিযোগ রয়েছে এমন সাইটগুলোকে পিছিয়ে দিতে হবে যাতে সেগুলো সাধারণ সার্চের ক্ষেত্রে প্রথম পেইজগুলোতে দেখা না যায়।
সামনের কয়েক মাস ধরে এই নীতিমালা নিয়ে কপিরাইট নিয়ন্ত্রকরা গুগল আর বিং কীভাবে পদক্ষেপ নিচ্ছে তা পর্যবেক্ষণ করবে। এর মূল্যায়নের উপর ভিত্তি করে ভবিষ্যতে আরও কড়া পদক্ষেপ নেওয়া হতে পারে।
এই পদক্ষেপ টিভি, ফিল্ম আর সঙ্গীত খাতকে কতটা সহায়তা করবে তা এখনও স্পষ্ট নয়। তবে, গুগল অনেক দিন ধরেই দাবি করে আসছে যে সার্চ ইঞ্জিনগুলো পাইরেসিবান্ধব সাইটগুলোতে ট্রাফিক পাঠানোর প্রধান উৎস নয়।
এ দিকে চলতি বছরের শুরুতে গুগল সার্চের শুরুর দিকে গুগলের পণ্যই প্রদর্শন করা হয়, এমন অভিযোগ উঠলে ওয়েব জায়ান্টটির এক মুখপাত্র বলেন, “প্রতিষ্ঠানটির প্রচারণা নীতি সচেতনভাবে এবং সতর্কভাবে তৈরি করা।” তিনি আরও বলেন, “যখন অন্যান্য বিজ্ঞাপনদাতার মূল্য পরিশোধ নিশ্চিত হয়, তখন আমাদের সব প্রস্তাবিত মূল্য (গুগলে নিজেদের বিজ্ঞাপন দেওয়ার জন্য স্থান ও মূল্য নির্ধারণ) নিলাম থেকে আলাদা রাখা হয়। আমাদের অনেক কঠোর নীতি এবং প্রক্রিয়া আছে। নিজেদের পণ্যের বিজ্ঞাপন চালনার ক্ষেত্রে আমাদের নিয়মগুলো ভোক্তাদের জন্য প্রযোজ্য নিয়মের চেয়েও কঠোর।”