এই আভাসের ক্ষেত্রেও কিছুটা অসামঞ্জস্য আছে বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।
মার্কিন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রণ কর্তৃপক্ষ এসইসি’র কাছে এ খবর প্রকাশের আগের সপ্তাহে নিজেদের বার্ষিক প্রতিবেদন দাখিল করেছে অ্যামাজন। এবার এই প্রতিবেদনে একটি নতুন লাইন সংযোজন করে প্রতিষ্ঠানটি, তা হচ্ছে- খুচরা গ্রাহক সেবা। এই খাতে ২০১৬ সালে ৬৪০ কোটি ডলার আয় হয়েছে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এ তথ্য থেকে বাজার বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান গাগেনহেইম সিকিউরিটিজ বিশ্লেষক রবার্ট ড্রবুল হিসেব করতে বসে গিয়েছেন। তার হিসাবমতে প্রতিষ্ঠানটির প্রাইম গ্রাহকের সংখ্যা প্রায় সাড়ে ছয় কোটি। আরেক বাজার বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান কোয়েন অ্যান্ড কো.-এর বিশ্লেষক জন ব্যাকলেজ-এর হিসাবমতে বিশ্বব্যাপী সংখ্যাটা আট কোটির কাছাকাছি।
এ নিয়ে বিস্তারিত কোনো তথ্য প্রকাশে অস্বীকৃতি জানিয়েছেন এক অ্যামাজন মুখপাত্র।
অ্যামাজন বিভিন্ন সাবস্ক্রিপশন অফার দিয়ে থাকায় নির্দিষ্টভাবে প্রতিষ্ঠানটির প্রাইম সদস্যদের সংখ্যাটা বের করা কঠিন বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যমটি। যুক্তরাষ্ট্রে অ্যামাজন প্রাইম মেম্বারশিপ-এর জন্য বার্ষিক ৯৯ ডলার নিয়ে থাকে। এ অফারে গ্রাহকদের দুই দিন বিনামূল্যে কেনাবেচার সুবিধা ও স্ট্রিমিং সেবার মতো অন্যান্য সেবা আনলিমিটেডভাবে দেওয়া হয়। সেই সঙ্গে প্রতিষ্ঠানটি ১০.৯৯ ডলারে একটি মাসিক মেম্বারশিপ ও ৮.৯৯ মাসিক ডলারে প্রাইম ভিডিও মেম্বারশিপও দিয়ে থাকে।
কনজিউমান ইনটেলিজেন্স রিসার্চ-এর সর্বশেষ হিসাবমতে, প্রতিষ্ঠানটির প্রাইম মেম্বারদের প্রায় ১৯ শতাংশ একটি মাসিক লেনদেন পরিকল্পনার জন্য মনোনীত হন।