‘সন্ত্রাসী শনাক্তকরণে’ ফেইসবুক অ্যালগরিদম

ফেইসবুকে করা পোস্টের কনটেন্ট রিভিউ করতে সম্প্রতি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) পরিচালিত এক সফটওয়্যার ব্যবহারের পরিকল্পনা প্রকাশ করেছেন প্রতিষ্ঠানটির সহ-প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ করেছেন।

তাহমিন আয়শা মুর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Feb 2017, 02:25 PM
Updated : 17 Feb 2017, 02:25 PM

এই পরিকল্পনা ব্যাখ্যা করে এক চিঠিতে তিনি জানান, এই অ্যালগরিদমের মাধ্যমে ক্রমান্বয়ে সন্ত্রাস, সহিংসতা এমনকি আত্মহত্যা রোধ করাও সম্ভব হবে।

এর আগে ফেইসবুক ‘ভুল করেছে’ স্বীকার করে তিনি জানান, পরে ফেইসবুক থেকে এসব বিতর্কিত কনটেন্ট সরিয়ে নেওয়া হয়েছে। তবে প্রয়োজনীয় অ্যালগরিদম ডেভেলপ করতে আরও কয়েক বছর লেগে যাবে বলেও জানান তিনি।

জাকারবার্গের এই ঘোষণায় অভিনন্দন জানিয়েছে ইন্টারনেট নিরাপত্তা রক্ষায় কাজ করা এক দাতব্য সংস্থা। সামাজিক মাধ্যমগুলোতে ছড়িয়ে পড়া বিভিন্ন সহিংসতা নিয়ে এই সংস্থা কাজ করে আসছে।

ভবিষ্যতে ফেইসবুক নিয়ে পরিকল্পনা সম্পর্কে বলতে যেয়ে জাকারবার্গ জানান, এই প্লাটফর্মে প্রতিদিন প্রায় কয়েকশ’ কোটি পোস্ট আর মেসেজ রিভিউ করা সম্ভব হয় না। “আমরা এমন ব্যবস্থা খুঁজছি, যা মেসেজ পড়তে পারবে এবং ছবি আর ভিডিও ঝুঁকিপূর্ণ কিনা তা যাচাই করতে পারবে।”

“এখনও খুব প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে, কিন্তু ইতোমধ্যেই এটি এক-তৃতীয়াংশ রিভিউ করতে পারে বলে জানিয়েছে আমাদের ডেভেলপার দল।”

“বর্তমানে সন্ত্রাসবাদ সংক্রান্ত আসল আর ভুয়া সংবাদের মধ্যে পার্থক্য করতে আমরা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করছি।”

জাকারবার্গ জানান তার চূড়ান্ত লক্ষ্য হচ্ছে এই অ্যালগরিদমের মাধ্যমে আইনের মধ্যে থেকে মানুষকে পছন্দমতো পোস্ট করার সুযোগ করে দেওয়া। ব্যবহারকারী তাদের নিউজ ফিড থেকে যা দেখতে চান না এমন সব পোস্ট সরিয়ে নিতে পারবেন।

“নগ্নতা নিয়ে আপনার অবস্থান কী? সহিংসতা? অথবা গ্রাফিক কনটেন্ট? অশ্লীল কথা? যা আপনি সিদ্ধান্ত নেবেন তা-ই হবে আপনার নিজস্ব সেটিংস,” তিনি ব্যাখ্যা করেন।  

“যারা কোনো পছন্দ করতে পারবেন না, গণভোটের মতোই তাদের এলাকার অধিকাংশ মানুষ যা পছন্দ করেন তা তার জন্য ডিফল্ট হিসেবে নির্বাচিত হবে।”

“এটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ যে টেক্সট, ছবি বা ভিডিও যাচাই করে তাতে ঘৃণাসূচক, সহিংস গ্রাফিক কনটেন্ট বা যৌনতাপূর্ণ পোস্ট কিনা তা শনাক্ত করতে এআই ব্যবহার করা যাচ্ছে।”

“আমাদের গবেষণার বর্তমান অবস্থা থেকে আমরা আশা করছি, ২০১৭ সালে ‘কিছু’ জিনিস আমরা নিয়ন্ত্রণ করতে পারব, বাকিগুলো আরও অনেক বছরেও সম্ভব নয়।”