অনেক দিন ধরে এই ক্রয়চুক্তি নিয়ে কথা চললেও, প্রতিষ্ঠানটির আগের বড় দুইটি ডেটা ফাঁসের খবর ২০১৬ সালে প্রকাশিত হয়ে গেলে এই চুক্তি নিয়ে সন্দেহ তৈরি হয়। যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন প্রতিবেদনের বরাতে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি জানায়, ইয়াহু ৩৫ কোটি ডলার পর্যন্ত দাম কমাতে রাজি হয়েছে, সেইসঙ্গে সম্ভাব্য যে কোনো মামলার জন্য ভেরাইজন-এর সঙ্গে দায় ভাগাভাগি করে নিতেও সম্মতি জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
এই ক্রয় নিয়ে পুনরায় আলোচনার শর্তগুলো প্রথম প্রকাশ করে ব্লুমবার্গ, তাদের প্রতিবেদনে জানানো হয় চলতি সপ্তাহেই এ নিয়ে ঘোষণা আসতে পারে।
ভেরাইজন ২০১৫ সালে ৪৪০ কোটি ডলারের বিনিময়ে কেনা এওএল বিভাগের সঙ্গে ইয়াহু’র সার্চ, ইমেইল, মেসেঞ্জার ও বিজ্ঞাপনী প্রযুক্তি টুলগুলোর সমন্বয় ঘটাতে চাচ্ছে। মোবাইল ভিডিও আর বিজ্ঞাপন ব্যবসায়কে মার্কিন টেলিযোগাযোগ বাজাতে নতুন আয়ের উৎস হিসেবে দেখছে এই টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানটি।
এদিকে বুধবার দুই ডেটা লঙ্ঘনের প্রেক্ষিতে ইয়াহু তাদের ব্যবহারকারীদের অ্যাকাউন্টে সতর্কবার্তা পাঠিয়েছে। তবে, ঠিক কতজন ব্যবহারকারী ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তা নিয়ে কিছু জানায়নি প্রতিষ্ঠানটি।
ইয়াহু যে বড় দুই ডেটা লঙ্ঘনের শিকার হয়েছে তা নিয়ে বিনিয়োগকারীদের আরও আগে জানানো উচিৎ ছিল কি-না তা নিয়ে তদন্ত করছে মার্কিন শেয়ারবাজার নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ এসইসি, এ ঘটনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যাক্তিদের বরাতে চলতি বছর জানুয়ারিতে এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানায় ব্যবসা-বাণিজ্যবিষয়ক মার্কিন দৈনিক ওয়াল স্ট্রিট জার্নাল।