শুনানির ওপর ভিত্তি করে লি-এর বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারী করা হবে কিনা সে বিষয়ে সিদ্ধান্ত নেওয়ার আশা করছে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবি, জানিয়েছে বিবিসি।
কোরিয়ান প্রেসিডেন্ট পার্ক গুয়েন-হুয়ের একজন নিকট কর্মকর্তাকে ঘুষ দেওয়াসহ অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ রয়েছে লি-এর বিরুদ্ধে। প্রেসিডেন্ট পার্ক-এর ওই কর্মকর্তাকে অর্থ দিয়েছেন লি। এর পরিবর্তে ২০১৫ সালে স্যামসাংয়ের মূল প্রতিষ্ঠান এবং নির্মাণ ব্যবসার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের একত্রীকরণে প্রতিষ্ঠানটি সরকারের সহায়তা পান বলে জানানো হয়েছে। সে সময় চুক্তিটির বেশ সমালোচনা করেছিলেন শেয়ারধারীরা।
চলতি বছরের ৯ জানুয়ারি স্যামসাংয়ের চেয়ারম্যান এবং প্রেসিডেন্টকে তদন্তের স্বার্থে প্রশ্ন করতে প্রথমবার ডেকে নেয় আইন শৃংখলা বাহিনী। পরবর্তীতে বলা হয় ১৮ জানুয়ারি আদালতে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে লি-এর গ্রেফতারি পরোয়ানা অনুমোদন করা হবে কিনা। কিন্তু এতে লি-কে গ্রেফতার করার মতো যথেষ্ট প্রমাণ মেলেনি বলে জানানো হয়।
শুনানির আগে লি প্রতিবেদকদের বলেন, “আমি আরও একবার সত্যটা বলবো।”
২০১৪ সালে লি’র বাবা স্যামসাং গ্রুপের প্রধান লি কুন-হি হৃদরোগের কারণে ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের দায়িত্ব পরিচালনায় অক্ষম হয়ে পড়লে ৪৮ বছর বয়সী লি কার্যত স্যামসাং গ্রুপের প্রধান হিসেবে কাজ করা শুরু করেন।