ইতোমধ্যে কম ভাড়ার মাধ্যমে শহরটিতে প্রচলিত ট্যাক্সি ও রিকশা পরিচালকদের হাত থেকে বাজার নিজেদের দখলে নিয়েছিল অনলাইনভিত্তিক যাত্রীসেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো, জানিয়েছে রয়টার্স।
স্মার্টফোন অ্যাপের মাধ্যমে চালকরা বুকিং নেওয়া বন্ধ করে দেওয়ায় চতুর্থ দিনের মতো যাত্রা বিড়ম্বনায় পড়েছেন সেখানকার যাত্রীরা। সরকারের পক্ষ থেকে বাড়তি বাস যোগ করা হলেও এ বিড়ম্বনার মাত্রাটা খুব একটা কমেনি।
আড়াই কোটি মানুষের এই অঞ্চলে এই প্রথম ট্যাএক্সি চালকদের প্রতিনিধিত্ব করা ট্রেড ইউনিয়নগুলো আর সেখানকার এই দুই রাইড-হেইলিং সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান মুখোমুখি অবস্থান নিল। এই দুই প্রতিষ্ঠান ভারতের এক হাজার দুইশ’ কোটি ডলার মূল্যের ট্যাক্সি বাজারের উন্নতিতে অবদান রেখেছে।
ধর্মঘটরা নেতারা জানিয়েছেন, তারা প্রণোদনা বৃদ্ধি, পর্যাপ্ত ইন্সুরেন্স নীতিমালার বিধান ও কর্মঘণ্টা কমানোর দাবি জানিয়েছেন।
সোমবার দিনের মাঝামাঝি দিল্লির বাণিজ্যিক কেন্দ্র কনট প্লেস-এ ট্যাক্সি বুকিংয়ে চেষ্টায় উবার আর ওলা’র অ্যাপে ‘নো কারস অ্যাভেইলএবল (কোনো গাড়ি নেই)’ লেখা দেখা যায় বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
উবার-এর এক মুখপাত্র বলেন, “আমাদের সেবা বিঘ্নিত হওয়ায় আর এ কারণে সৃষ্ঠ যে কোনো বিড়ম্বনার কারণে আমরা দুঃখিত। যাত্রী, চালক আর শহরগুলোকে সেবা দেওয়াই আমাদের লক্ষ্যের মূল আর আমরা চালকদের আবার যাত্রায় ফিরিয়ে আনা নিশ্চিত করতে যথাসাধ্য কষ্ট করছি।”
এ নিয়ে মন্তব্যের জন্য অনুরোধ করা হলেও ওলা কোনো জবাব দেয়নি বলে জানিয়েছে রয়টার্স।
দিল্লি’র যোগাযোগ মন্ত্রী সাত্যিয়েনদার জেইন সংবাদমাধ্যমটিকে বলেন, “আমি সব পক্ষের কথা শুনতে যাচ্ছি আর তারপর শীঘ্রই আমরা নতুন নীতিমালা প্রণয়ন করব।”