বিবিসি জানায়, এখনও পর্যন্ত অতি শীঘ্রই তিনটি প্রধান পরিবর্তন আনার ঘোষণা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মধ্যে রয়েছে নিষিদ্ধ ব্যবহারকারীদের শনাক্তকরণ ও তাদের নতুন অ্যাকাউন্ট খোলা ঠেকানো, তুলনামূলক নিরাপদ সার্চ রেজাল্ট - ব্লকড বা মিউটেড অ্যাকাউন্টসহ অন্যান্য অ্যাকাউন্ট থেকে পোস্ট করা সম্ভাব্য ঝুঁকিপূর্ণ টুইট মুছে ফেলা এবং টুইটে অপমানজনক ও নিম্নমানের রিপ্লাই সরিয়ে নেওয়া।
এ সংক্রান্ত এক ব্লগ পোস্টে টুইটার-এর ভাইস প্রেসিডেন্ট অফ ইঞ্জিনিয়ারিং এড হো বলেন, "টুইটারকে আরও নিরাপদ করে তোলাই আমাদের প্রাথমিক লক্ষ্য। আমরা বাকস্বাধীনতা এবং যে কোনো বিষয়েই সবদিক পর্যালোচনায় বিশ্বাসী। আর তা তখনই ঝুঁকির মুখে পড়ে যায় যখন নিপীড়ন ও হয়রানির মাধ্যমে এ কণ্ঠগুলোকে স্তিমিত করে দেওয়া হয়। আমরা এসব সহ্য করবো না, আর তা ঠেকাতে আমরা নতুন নতুন প্রচেষ্টা চালাচ্ছি।"
এ টুলগুলোর কোনোটিই প্লাটফর্মটি থেকে কোনো টুইট পুরোপুরিভাবে মুছে না দিলেও, কী ধরনের কনটেন্ট ব্যবহারকারীরা দেখতে পাবেন তা তারা নিজেদের সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারবেন। টুইটারে হয়রানির ঘটনা লাগামছাড়া বৃদ্ধির অভিযোগ প্রতিষ্ঠানটির স্বীকার করে নেওয়া এবং সম্প্রতি প্রতিষ্ঠান প্রধান জ্যাক ডরসি’র এক টুইটে "টুইটারে হয়রানি বন্ধে সম্পূর্ণ নতুন ধাঁচে এগোনোর" প্রতিশ্রুতির সূত্র ধরে এ পরিবর্তন আসছে বলে জানায় বিবিসি।