যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল ট্রেড কমিশন জানায়, এই প্রতিষ্ঠানের স্মার্ট টিভি প্রযুক্তি গ্রাহকরা স্ক্রিনের কী দেখছে তা নিয়ে ডেটা সংগ্রহ করত আর ওই ডেটা প্রতিষ্ঠানের সার্ভারে পাঠিয়ে দিত। এই ডেটা পরে তৃতীয় পক্ষে কাছে বেচে দেওয়া হত বলে জানিয়েছে বিবিসি।
অন্যদিকে প্রতিষ্ঠানটি জানিয়েছে, পাঠানো ডেটা কোনো ব্যক্তির সঙ্গে মেলানো যেত না। তাদের পক্ষ থেকে বলা হয়, “প্রতিষ্ঠানটি কখনও টিভি দেখার ডেটার সঙ্গে কোনো ব্যক্তির নাম বা যোগাযোগ তথ্যের মতো ব্যক্তি শনাক্তকারী তথ্য দেয়নি। আর কমিশন কোনো অভিযোগ করেনি বা তর্কও করেনি”।
এফটিসি জানায়, ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতে এই ডেটা সংগ্রহ করা শুরু হয়। এর ফলে ১১ কোটি টেলিভিশন ক্ষতিগ্রস্থ হয়। সংস্থাটির পক্ষ থেকে বলা হয়, “ভিজিও স্মার্ট টিভি রয়েছে এমন প্রতিটি বাসা থেকে ভিজিও আলাদা আলাদা ডেটা সংগ্রহ করে।” এই ডেটার সঙ্গে ওই বাড়িগুলোর আইপি অ্যাড্রেস, আশপাশের অ্যাকসেস পয়েন্ট, জিপ কোড ও অন্যান্য তথ্যও সংগ্রহ করে।”
হয়ে যাওয়া মীমাংসা অনুযায়ী ভিজিও কীভাবে তাদের গ্রাহকদের ডেটা সংগ্রহ করেছে ও সংরক্ষণ করেছে তা স্পষ্ট করতে রাজি হয়েছে।
২০১৫ সালে স্যামসাংয়ের স্মার্ট টিভি থেকে ব্যবহারকারীদের অজান্তেই স্পর্শকাতর ভয়েস ডেটা হস্তান্তর করার খবর বের হয়েছিল।