বিবিসি জানায়, যুক্তরাজ্যের ন্যাশনাল সাইবার সিকিউরিটি সেন্টার-এর কারিগরি পরিচালক ড. ইয়ান লেভি এক নিরাপত্তা সম্মেলনে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠানগুলোর বিরুদ্ধে হ্যাকারের ভয় দেখিয়ে ভোক্তাদের কাছে হার্ডওয়্যার ও সেবা বিক্রির অভিযোগ আনেন। যুক্তরাজ্যের ডিজিটাল নিরাপত্তার কার্যকারিতা সম্পর্কে ‘কমনস পাবলিক অ্যাকাউন্টস কমিটি’ প্রশ্ন তোলার কিছুদিনের মধ্যেই এ মন্তব্য করলেন তিনি।
হ্যাকারদের আক্রমণ থেকে ভোক্তাদের রক্ষা করার ক্ষমতা একমাত্র তাদের 'ম্যাজিক অ্যামিউলেট' পণ্যগুলোরই রয়েছে - প্রতিষ্ঠানগুলোর এমন ভ্রান্ত ধারণা ছড়ানোর সমালোচনা করেন তিনি। "আমরা প্রতিষ্ঠানগুলোকে এ সমস্যা সম্পর্কে জনগণের দৃষ্টিভঙ্গি নির্ধারণ করে দেওয়ার সুযোগ দিচ্ছি-" বলেন তিনি। এ ছাড়াও সাইবার ঝুঁকি সম্পর্কে অতিরঞ্জিত তথ্য উপস্থাপনের মাধ্যমে হ্যাকারদের প্রয়োজনের চেয়ে বেশি বিপজ্জনক হিসেবে দেখানোয় প্রতিষ্ঠানগুলোর বিপনণ বিভাগেরও সমালোচনা করেন তিনি।
২০১৬ সালে যুক্তরাজ্যের একটি টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠানে ঘটে যাওয়া সাইবার আক্রমণের উদাহরণ টেনে তিনি বলেন, সাইবার আক্রমণের শিকার প্রতিষ্ঠানগুলোতে আক্রমণের মাত্রা ও ধরন প্রায়ক্ষেত্রেই পুরোনো ধাঁচের এবং খুব একটা জটিল নয়। সাইবার আক্রমণ ঠেকাতে শুধু এ ক্ষেত্রে ব্যবসায়নির্ভর প্রতিষ্ঠানগুলোর পরামর্শ নেওয়াকে বিপজ্জনক বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের সরকারি একটি বিভাগকে স্প্যাম, ফিশিং ও অন্যান্য সাইবার আক্রমণ থেকে রক্ষায় ২০১৬ সালের অক্টোবরে এনসিএসসি-এর সাফল্যের কথা উল্লেখ করে তিনি এর সাইবার নিরাপত্তা পরামর্শগুলোর দিকে নজর দেওয়ায় জোর দেন। এ ছাড়াও এনসিএসসি-এর এ সাফল্যের কারণে অন্যান্য সরকারি বিভাগেও ক্রমেই এর ব্যবহার চালু হচ্ছে বলে তিনি জানান।