ওই পেটেন্টে উবার জানায়, তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমটির তথ্য ব্যবহার করতে আগ্রহী। এর মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা একই বিষয়ে আগ্রহীদের সঙ্গে একটি যোগসূত্র তৈরি করতে পারবেন।
ব্যবহারকারী তার কোনো স্কুল বন্ধু বা একই শহরের কেউ অথবা কোনো ফেইসবুক বন্ধু একই গন্তব্যের দিকে গেলে উবার অ্যাপ- এর মাধ্যমে সে বার্তা পেয়ে যাবেন তিনি। এ ছাড়াও একই স্থানে জন্ম বা একই স্থানের বাসিন্দা এমন ব্যাক্তিরাও তাদের ভ্রমণ শেয়ার করতে পারবেন।
পেটেন্টে বলা হয় এর মাধ্যমে একটি সামাজিক সমন্বয় ঘটবে। যেখানে একজন অপরিচিত ব্যাক্তিকে বিভিন্ন প্রশ্ন করে বিরক্ত করার মতো কোন ঝামেলা থাকবে না। অর্থাৎ উবারের যাত্রী বা চালকের সঙ্গে একে অপরের কোন না কোন বিষয়ে মিল থাকবে, জানিয়েছে সিএনএন।
উবার-এর ভাষ্য হচ্ছে, উবারের যাত্রী পেছনের সিটে চুপচাপ বসে থাকেন। তিনি হয়তো জানেনই না সামনের চালকের সঙ্গে তার কোনো যোগসূত্র আছে কিনা।
চালক এবং যাত্রীর মাঝের এই যোগসূত্রের বিষয়টি পেটেন্টে বিস্তারিত বর্ণনা করা আছে। আর এটিই হয়তো আরো বেশী মানুষকে উবার ব্যাবহারে আগ্রহী করে তুলবে। এছাড়াও উবার এটিকে আরো উন্নত করার চেষ্টা করছে।
উবার প্রধান ট্রাভিস কালানিক বলেন, “শহরে এই অ্যাপের প্রভাব এখনও ৯৫ থেকে ৯৮ ভাগই পড়েনি”। এই সপ্তাহে তার প্রকাশিত একটি বইয়ে তিনি বলেন, “সামনের ৫ বছরের মধ্যে আমেরিকার বড় কোনো শহরে আর ট্রাফিক সমস্যা হবে না। এ ব্যাপারে আমি আশাবাদী”।
এ ছাড়াও ট্রাফিক সমস্যার সমাধান নিয়ে এ বিষয়ের একজন বিশেষজ্ঞ বলেন, “এক যাত্রী নিয়ে ভ্রমণের যুগ খুব অল্প দিনেই হয়তো শেষ হবে। উবার-এর মধ্যমে আমরা পুরো রাস্তাকে আরও অনেক বেশি উপযুক্তভাবে ব্যবহার করতে পারব এবং রাস্তায় গাড়ীর সংখ্যাও অনেক কমে যাবে।”