রয়টার্স জানায়, ২০১০ সালে নিসান ব্যাটারিচালিত গাড়ি লিফ-এর মাধ্যমে পেট্রোল হাইব্রিড প্রযুক্তি বাদ দিয়ে সরাসরি ব্যাটারিচালিত গাড়ি তৈরিতে নজর দেবে এমনটা ইঙ্গিত দেয়। কিন্তু আগের সিদ্ধান্ত পরিবর্তন করে আগের বছরের শেষ দিকে ‘ই-নোট’ বাজারে আনে গাড়ি নির্মাতা জাপানি প্রতিষ্ঠানটি।
নতুন এ হাইব্রিড গাড়িটি লিফ-এর মতো একই ধরনের মোটর ব্যবহার করে বৈদ্যুতিক গাড়ির মতো কাজ করলেও এতে বড় আকারের ব্যয়বহুল ব্যাটারির বদলে রয়েছে পেট্রোল ইঞ্জিনে চার্জ হওয়া একটি ছোট ব্যাটারি। ফলে ব্যাটারির চার্জ কমে আসলেই স্বয়ংক্রিয়ভাবে তা চার্জ হওয়া শুরু হয়। ১৫৫৭৭ মার্কিন ডলার মূল্যের এ গাড়িটি লিফ-এর তুলনায় প্রায় ৪০ শতাংশ সস্তা, যা গাড়ি ক্রেতাদের আকৃষ্ট করবে বলে আশা করছে প্রতিষ্ঠানটি।
নোট-এর নতুন ই-পাওয়ার হাইব্রিড সিস্টেম ব্যবহারে হাইব্রিড ও বৈদ্যুতিক উভয় ক্ষেত্রেই উৎপাদন ব্যয় কমানো সম্ভব হবে বলে আশা প্রকাশ করেন নিসান এর নির্বাহী ভাইস প্রেসিডেন্ট হিদেয়ুকি সাকামোতো।
তিনি বলেন, "পেট্রোল চালিত যানবাহনের তুলনায় ইভি তুলনামূলক বেশি ব্যয়বহুল, যা এড়ানোর উপায় নেই। এ ছাড়া ইভি লম্বা দূরত্ব পাড়ি দেওয়ার জন্য নয়, এমন ধারণাও প্রচলিত রয়েছে। এ যাবত আমাদের হাইব্রিড ও ইভি-এর মধ্যে ইনভার্টার ও মোটরসহ বিভিন্ন অংশে পার্থক্য ছিলো। কিন্তু নতুন এ সিস্টেমটি লিফ-এর কিছু অংশ শেয়ার করায় দক্ষতার সঙ্গে প্রক্রিয়াজাতকরণ সম্ভব হচ্ছে।"
এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য দিতে তিনি রাজি হননি সাকামোতো।
হাইব্রিড ই-নোট আপাতত শুধু চীনেই পাওয়া যাচ্ছে। ইভি নির্মাণের ক্ষেত্রে মিতসুবিশি মোটর্স নির্মিত প্লাগ-ইন হাইব্রিড সিস্টেম ব্যবহারের সম্ভাবনা রয়েছে নিসান-এর। এ ছাড়া ইথানল থেকে উৎপাদিত বৈদ্যুতিক শক্তি ব্যবহার করে চলবে এমন ফিউয়েল সেল গাড়ি নিয়েও কাজ করা হচ্ছে বলেও জানায় প্রতিষ্ঠানটি।