বুধবার তিনি মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি’কে বলেন , “অর্থনীতির এই গুরুত্বপূর্ণ সময়ে অ্যাপল যে সম্পূর্ণ ভিন্নধারার নেতৃত্বদানের ক্ষমতা রাখে তা যদি তারা দেখাতে পারে তবে সেটি বিশাল একটা পার্থক্য হিসেবে পরিলক্ষিত হবে।”
তার মতে, বিশ্বায়ন থেকে সরে এসে শুধু যুক্তরাষ্ট্র কেন্দ্রিক সবকিছু নতুন করে সাজিয়ে তোলার লক্ষ্যে কাজ শুরু করেছেন ট্রাম্প। আর এক্ষেত্রে ট্রাম্প-এর প্রথম লক্ষ্য হবে সম্ভবত সিলিকন ভ্যালি, যেহেতু এটি শীর্ষ সব প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানের কেন্দ্রস্থল। বর্তমানে মেডিকেল ব্যবস্থাপনাবিষয়ক প্রতিষ্ঠান আরএক্স অ্যাডভান্সড-এর চেয়ারম্যান হিসেবে থাকা স্কালির মতে, অ্যাপল মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে কেন্দ্র করে এর সাপ্লাই চেইন ও উৎপাদন ফিরিয়ে আনার জন্য খুব ভালোভাবেই প্রস্তুত।
স্কালি অ্যাপলের ব্যবসায়ের উপর ট্রাম্প-এর নব্য নীতির প্রভাব নিয়ে মোটেও চিন্তিত নন বলে জানান। প্রতিষ্ঠানটির বর্তমান প্রধান নির্বাহী টিম কুক-এর বিপণন ব্যবস্থার সঙ্গে নগদ অর্থ ফেরত আসার সম্ভাবনার মানে হচ্ছে অ্যাপল খুব ভালো অবস্থানে আছে। তিনি বলেন, “আমি মনে করি না এটি এমন কিছু যার জন্য বিনিয়োগকারীদের চিন্তা করা উচিৎ।” যদি প্রতিষ্ঠানটি এর পণ্যের মূল্য বৃদ্ধি করে তবে তা ভোক্তাদের জন্যও ভীতির কোনো কারণ হয়ে দাঁড়াবে না, মন্তব্য তার।
“আমি মনে করি মানুষ আইফোন ভালবাসে”-বলেন স্কালি। “এর মূল্য স্পর্শকাতর কিনা তা নিয়ে আমি নিশ্চিত নই”-যোগ করেন তিনি।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অ্যাপলের পক্ষে এর সম্পূর্ণ বিপণন ব্যবস্থা স্থানান্তর করা অবাস্তব, কিন্তু প্রতিষ্ঠানটি এর পণ্যের যন্ত্রাংশ সমন্বয়সহ পরীক্ষণের কাজটি এখানেই করতে পারে, জানান স্কালি।
“এটি পরিবর্তন করা অ্যাপলের জন্য খুবই কঠিন হবে কিন্তু তারা এটি করতে সক্ষম”-বলেন স্কালি।