যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে এবার ‘ফেইসবুক যাচাই’!

যুক্তরাষ্ট্রে আগতদের প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার আগে রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি যাচাইয়ে উদ্দেশ্যে তাদের ফেইসবুক পেইজ যাচাই করছে মার্কিন সীমান্তরক্ষী বাহিনী বর্ডার পেট্রোল, দাবি করেছেন এক অভিবাসন আইনজীবী।  

তাহমিন আয়শা মুর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 30 Jan 2017, 10:31 AM
Updated : 30 Jan 2017, 10:31 AM

সম্প্রতি সাতটি মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশের উপর অভিবাসন নিষেধাজ্ঞা জারি করে নির্বাহী আদেশে সই করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। হিউস্টনভিত্তিক আইনজীবী মানা ইয়েগানি জানান, এই আদেশ জারির পরে যুক্তরাষ্ট্রের অনেক গ্রিন কার্ডধারী নাগরিককে ঘণ্টার পর ঘণ্টা দেশটির বিমানবন্দরগুলোতে আটকে রাখেন সীমান্তরক্ষীরা। 

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগের এক মুখপাত্রের মতে, ইরান, ইরাক, লিবিয়া, সোমালিয়া, সুদান, সিরিয়া ও ইয়েমেন থেকে আগত পাসপোর্টধারী ভ্রমণকারী ছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস এবং কাজের জন্য অনুমোদনপ্রাপ্ত গ্রিন কার্ডধারীরাও এই নিষেধাজ্ঞায় দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন। 

আমেরিকান ইমিগ্রেশন লইয়ারস অ্যাসোসিয়েশন (আলিয়া)-এ কর্মরত ইয়েগানি জানান, নিষেধাজ্ঞার পর যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষিদ্ধ করা বা নিজ দেশে ফেরত যেতে বলা তালিকাভুক্ত মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ দেশগুলোর লোকদের সঙ্গে তিনি ও তার সহকর্মীতা সারারাত ধরে কাজ করেছেন।

সুদানের এক নাগরিক যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি’র পিএইচডি শিক্ষার্থী। তিনি ২২ বছর ধরে যুক্তরাষ্ট্রে থেকেছেন। তিনিও নিউ ইয়র্কে পাঁচ ঘণ্টা ধরে আটকে ছিলেন। আরেক ঘটনায় দেখা যায়, ইরান ও কানাডার এক দ্বৈত নাগরিক কানাডার অটোয়া’র ফ্লাইটে যাওয়ার অনুমতি পাননি, জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট। 

আইনি সহায়তাদাতা সংস্থাটি জানায়, সীমান্তরক্ষীরা লোকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশ করতে দেওয়ার আগে সামাজিক মাধ্যমের অ্যাকাউন্টগুলো যাচাই করছিল ও তাদের রাজনৈতিক মতবাদ সম্পর্কে জিজ্ঞাসাবাদ করছিল।

ইয়েগানি বলেন, “এই ব্যক্তিরা বৈধভাবে আসা। তারা এখানে কাজ করে আর এখানে তাদের সম্পত্তিও আছে। শুধু আগের দিন সন্ধ্যা ছয়টায় ট্রাম্প কিছুতে সই করলেন আর সবকিছুতে এমন বিপর্যয় এসে স্থগিত হয়ে গেল, এটা ভয়ংকর।”

শেষ পর্যন্ত বৈধ ভিসা নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে পৌঁছানোর পরও ওই দেশগুলোর নাগরিকদের বিমানবন্দর থেকে ফেরত পাঠানোর প্রক্রিয়া শনিবার ব্রুকলিন ফেডারেল আদালতের আদেশে আটকে যায় - জানিয়েছে বিবিসি।