সাইবার নিরাপত্তায় বিনিয়োগে মাইক্রোসফট

সফটওয়্যার জায়ান্ট মাইক্রোসফট সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ক গবেষণা আর উন্নয়ন খাতে প্রতি বছর ১০০ কোটি মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে। তবে কোনোরকম অধিগ্রহণ এই বিনিয়োগের অন্তর্ভুক্ত হবে না। মাইক্রোসফটের নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান ভারাত শাহ্ তেল আবিবে অনুষ্ঠিত প্রতিষ্ঠানটির ব্লুহ্যাট সাইবার নিরাপত্তা সম্মেলনে রয়টার্সকে এসব তথ্য জানান।

তাহমিন আয়শা মুর্শেদবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 27 Jan 2017, 11:36 AM
Updated : 27 Jan 2017, 11:36 AM

“মানুষ যত বেশি ক্লাউড ব্যবহার করছে, খরচ ততই বেড়ে যাচ্ছে।” শাহ্ বলেন।

মাইক্রোসফটের তথ্যানুসারে, দুই-তিন বছর আগে প্রতি সপ্তাহে ২০ হাজার বারের মত সাইবার আক্রমণের চেষ্টা হত, যা তা ছয় থেকে সাত লাখ।

উইন্ডোজ সফটওয়্যারের জন্য দীর্ঘদিন যাবত পরিচিত মাইক্রোসফট সম্প্রতি ক্লাউড-এর দিকে তাদের লক্ষ্যবস্তু স্থির করেছে। এই বাজারে তাদের লড়তে হবে বৃহত্তর প্রতিদ্বন্দ্বী অ্যামাজন-এর সঙ্গে।

অক্টোবর মাসে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয় যে, তাদের ফ্ল্যাগশিপ ক্লাউড পণ্য অ্যাজিউর (যা থেকে ব্যবসায়ীরা তাদের ওয়েবসাইট, অ্যাপস বা তথ্য হোস্ট করার জন্য ব্যবহার করতে পারেন) এর ত্রৈমাসিক বিক্রি প্রায় ১১৬ শতাংশ বেড়েছে।

তা ছাড়াও অভ্যন্তরীণ নিরাপত্তা বিনিয়োগ বাড়াতে মাইক্রোসফট দুই বছরের বেশি সময়ে ইসরাইলে তিনটি নিরাপত্তা সংস্থা কিনেছে। আর এগুলো হল-  এন্টারপ্রাইজ নিরাপত্তা স্টার্ট আপ আওরাটো, ক্লাউড নিরাপত্তা সংস্থা অ্যাডালোম আর সিকিউর আইল্যান্ডস, যাদের ফাইল সংরক্ষ্ণ পদ্ধতি ক্লাউড সেবাদাতা অ্যাজিউর ইনফরমেশন প্রটেকশন-এ ব্যবহৃত হয়। তবে এসব চুক্তির কোন আর্থিক বিবরণী প্রকাশ করা হয়নি। 

“যদি আপনি ৪০০ স্টার্ট আপ সংবলিত ইকোসিস্টেমের কথা বলেন, তাহলে তা মোটেও কাকতালীয় হবেনা। ইসরায়েল-এর নিরাপত্তা ব্যবস্থা বেশ ভাল।” সিকিউর আইল্যান্ডের প্রতিষ্ঠাতা ইউভাল এলডার বলেন।

মাইক্রোসফটের উদ্যোগে আরও সাইবার নিরাপত্তায়  আরও তিনটি খাতে বিনিয়োগ করা হচ্ছে। চলতি সপ্তাহে ইলিউসিভ নেটওয়ার্ক স্থাপন কাজে অপ্রকাশিত বিনিয়োগও এর অন্তর্ভুক্ত। ব্যাংক ও খুচরা বিক্রেতারা এটি ইনস্টল করেছেন।

চলতি মাসের শুরুতে মাইক্রোসফট জানিয়েছিল, তারা এই নেটওয়ার্ক বানানোর জন্য ইসরায়েলের টিম৮ -এ বিনিয়োগ করেছে। তবে এই প্রযুক্তি বাস্তবায়ন নিয়ে তেমন পরিকল্পনা তাদের নেই জানিয়ে শাহ্ বলেন, “ভবিষ্যতে কাজে লাগতে পারে এমন বিভিন্ন প্রযুক্তি আমরা দেখছি।”