ভুয়া কনটেন্ট প্রকাশের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের ভুল পথে নিয়ে যায় এমন সাইটগুলোকে নিষিদ্ধ করতে প্রতিষ্ঠানটির এক নীতিমালার আওতায় এই পদক্ষেপ নেওয়া বলে জানিয়েছে মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনবিসি।
ভুয়া তথ্য দেয় এমন বিজ্ঞাপনদাতাদের বিরুদ্ধে গুগল বরাবরই ব্যবস্থা নিয়ে থাকে। সাম্প্রতিককালে ভুয়া সংবাদ অনেক বেশি বেড়ে যাওয়ায় এর বিরুদ্ধেও পদক্ষেপ নেওয়া শুরু করল মার্কিন প্রতিষ্ঠানটি।
২০১৬ সালে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জনপ্রিয়তা ভোটে ডোনাল্ড ট্রাম্প জয়ী হয়েছেন- এমন এক ভুয়া সংবাদ গুগলে স্থান করে নিলে সমালোচনার মুখে পড়ে গুগল। প্রকৃত সংবাদ ছিল- জনপ্রিয়তা ভোটে হিলারি ক্লিনটন-এর চেয়ে তার ভোট সংখ্যা ২৮ লাখ কম ছিল।
নিষিদ্ধ করা দুইশ’ প্রকাশনা সাইটের মধ্যে সবগুলোই ভুয়া সংবাদ সাইট নিষিদ্ধের আওতায় ছিল না, এগুলোর মধ্যে কিছু সাইট বিজ্ঞাপনে ভুল তথ্য দেওয়ার দায়েও নিষিদ্ধ হয়।
কথিত ভুয়া সংবাদ প্রকাশনা সাইটগুলো মাঝে মধ্যে “ডটকো” ডোমেইন ব্যবহার করে সুবিধা নেয়। সাধারণত সুপ্রতিষ্ঠিত সংবাদ সাইটগুলো নাম “ডটকম” দিয়ে শেষ হয়, আর এ কারণে ভুয়া সংবাদের সাইটগুলোর খবর মানুষকে বিশ্বাস করানো সহজ হয়।
নিষিদ্ধ করা সাইটগুলোর তালিকা প্রকাশে গুগল অস্বীকৃতি প্রকাশ করেছে।
অন্যদিকে, বার্ষিক প্রতিবেদনে দেখা যায় গুগলের বিজ্ঞাপন নীতিমালা লঙ্ঘনের দায়ে ২০১৬ সালে প্রতিষ্ঠানটি ১৭০ কোটি বিজ্ঞাপন সরিয়ে নিয়েছে, ২০১৫ সালে এই অংকটা ছিল ৭৮ কোটি।