নতুন এই নিয়োগে ইন্টারনেট নিরপেক্ষতা নিশ্চিতকরণ আইন ঝুঁকির সম্মুখীন হতে যাচ্ছে -এমন উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন ইন্টারনেট অধিকার নিয়ে কর্মরত সংশ্লিষ্টরা।
ফেইসবুক আর গুগলের নেট নিরপেক্ষতা সমর্থকদের মতে, অনলাইন প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে প্রতিযোগিতা সৃষ্টি করা জরুরি। তাদের মতে, তথাকথিত ‘ফাস্ট লেইন’ মেনে নতুন কোনো ভিডিও সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ইউটিউব আর ভিমিও- এর মতো প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় পেরে উঠতে পারবে না।
সাধারণত এফসিসি-এর নেট নিরপেক্ষতার বিপক্ষে রিপাবলিকান সদস্যদের ভোট কখনই সংখ্যাগরিষ্ঠতা পায় না। কিন্তু ট্রাম্পের নেতৃত্বে এবার এই কমিশনের অধিকার পাচ্ছে রিপাবলিকানরাই।
সাবেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা জনগণের ব্যাপক সমর্থন পাওয়া সত্ত্বেও তার সময়েও নেট নিরপেক্ষতা আইন বিতর্কের সম্মুখীন হয়।
ট্রাম্প প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর পাই বলেন, “ট্রাম্প প্রশাসনে আমরা এফসিসি-কে রক্ষণশীল দিক থেকে আক্রমণাত্মক দিকে নিয়ে যাব।”
পাই এর আগেই এফসিসি কমিশনার ছিলেন। তাই সিনেটের সমর্থন ছাড়াই এখন তিনি সরাসরি দায়িত্বপালন করতে পারবেন। অতীতে তিনি নিরপেক্ষতা আইনের বিরুদ্ধে ভোট দিয়ে এই ব্যাপারে তার দৃঢ় অবস্থানের দৃষ্টান্ত দেখিয়েছেন।
যোগাযোগবিষয়ক আইন পরামর্শদাতা দল ‘ফ্রি প্রেস’-এর প্রধান ক্রেইগ অ্যারন বলেন, “তার সময়ে এফসিসি যতগুলো গুরুত্বপূর্ণ ইসুর সম্মুখীন হয়েছে, তিনি সবসময়ই তার ভুল পক্ষটিই বেছে নিয়েছেন।”