এই র্যানসমওয়্যার হামলায় হামলাকারীরা ১৭টি গ্রন্থাগারের নিয়ন্ত্রণ ভেঙ্গে তা নিষ্ক্রিয় করে ফেলে এবং মুক্তিপণ দাবী করে। এর ফলে বিপাকে পড়েন পাঠকরা। তারা গ্রন্থাগার থেকে বই নিতে ও গ্রন্থাগারের কম্পিউটার ব্যবহার করতে পারেননি।
পরবর্তীতে গ্রন্থাগারে সব ধরনের নিয়মিত সেবা পুনরুদ্ধার করা হয় বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন সেiন্ট লুইস গ্রন্থাগারের নির্বাহী পরিচালক ওয়ালার ম্যাকগুইরে। বিবিসির তথ্যানুসারে, হামলাকারীদেরকে কোনো মুক্তিপণ দিতে হয়নি।
ম্যাকগুইরে তার বিবৃতিতে বলেন, গ্রন্থাগারের ব্যাক-আপ সিস্টেম ব্যবহার করে ক্ষতিগ্রস্থ সার্ভারে প্রবেশ ও পুনরুদ্ধার করতে সেইন্ট লুইস গ্রন্থাগারের কারিগরি বিভাগের সদস্যরা ‘রাত আর ছুটির দিনেও’ কাজ করেছেন।
তাদের প্রধান লক্ষ্য ছিল গ্রন্থাগারের বই যাতে পাঠকরা বাসায় নিয়ে পড়তে পারেন সেই ব্যবস্থা পুনরুদ্ধার করা। তিনি জানান, তারা এখন সে সিস্টেম পুনরায় চালু করতে সক্ষম হয়েছেন।
ম্যাকগুইরে বলেন, “অপরাধীরা কেমন করে সিস্টেম ভাঙল তা শনাক্ত করতে এবং এই সমস্যা সমাধান করতে সেইন্ট লুইস গ্রন্থাগার এখন এফবিআই-এর সঙ্গে যৌথভাবে কাজ করছে।”
“এই ঘটনায় ভুক্তভোগী সব ব্যবহারকারীর কাছে আমি ক্ষমাপ্রার্থী। অধিকাংশ দিন হাজারো ব্যবহারকারী বই নেওয়াসহ বিভিন্ন কাজে সেইন্ট লুইস গ্রন্থাগারের কম্পিউটার ব্যবহার করে থাকেন। তাই হামলায় গ্রন্থাগার ব্যবহারকারীরাই মূলত ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন।”
“মুক্তিপণের জন্য পাবলিক লাইব্রেরিতে আক্রমণাত্মকভাবে তথ্য এবং প্রবেশাধিকার রোধ করার চেষ্টা অত্যন্ত ভয়ানক। তবে আমরা আমাদের পৃষ্ঠপোষকদেরকে এসব থেকে মুক্ত রাখার যথাসাধ্য চেষ্টা করব,” যোগ করেন তিনি।