স্কুল কলেজে প্রোগ্রামিং ডিভাইসে শিক্ষার জন্য ব্যবহৃত এই ক্ষুদ্র কম্পিউটারটিতে কী ধরনের টুল ‘সবচেয়ে বেশি সহায়ক’ হবে তা জানতে একটি জরিপ চালাতে নির্মাতা প্রতিষ্ঠানকে অনুরোধ করেছে গুগল, জানিয়েছে বিবিসি।
ডিভাইসটিতে মুখ এবং আবেগ শনাক্তকরণ, স্পিচ-টু-টেক্সট ট্রান্সলেশন, ন্যাচারাল ল্যাঙ্গুয়েজ প্রসেসিং ও অনুভূতি বিশ্লেষণা যোগ করার পরামর্শ দিয়েছে গুগল।
এর আগেও মেশিন লার্নিং, ইন্টারনেট অফ থিংস ও পরিধানযোগ্য ডিভাইস এবং স্বয়ংক্রিয় বাড়ির জন্য বেশ কিছু টুল বানিয়েছে গুগল।
এআই যোগ করার ব্যাপারে রাসবেরি পাই ফাউন্ডেশন-এর পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, “নতুন টুলগুলো প্রস্ততকারকদের জন্য আরও বেশি শক্তিশালী প্রকল্প বানাতে সহায়ক হবে।”
এ বিষয়ে গুগলের এক মুখপাত্র বলেন, “এই মুহুর্তে আমাদের কাছে ঘোষণা করার মতো নির্দিষ্ট কিছু নেই। কিন্তু সমাজে আরও বেশি ওপেন সোর্স মেশিন লার্নিং টুল শেয়ার করতে আমরা উদগ্রিব হয়ে আছি। এ বছরে আরও কিছু পাওয়ার জন্য আমাদের সঙ্গেই থাকুন।”
রাসবেরি পাই ফাউন্ডেশন-এর প্রতিষ্ঠাতা ইবেন আপ্টন বিবিসি-কে বলেন, “এটা দারুণ যে গুগল প্রস্ততকারক সমাজের সঙ্গে দূরত্ব কমাচ্ছে।”
বাজারে আসার অল্প সময়ের মধ্যে দ্রুতই জনপ্রিয়তা পেয়েছে রাসবেরি পাই। ২০১৫ সালে বানানো এটি এ যাবত সবচেয়ে জনপ্রিয় ব্রিটিশ কম্পিউটারের তকমা পায়।
আগের বছর ডিসেম্বরে এই ক্ষুদ্র কম্পিউটারের জন্য নিজস্ব অপারেটিং সিস্টেমও উন্মুক্ত করেছে রাসবেরি পাই।