মঙ্গলবার সংস্থাটির পক্ষ থেকে জানানো হয়, অ্যাপলের বিরুদ্ধে নোকিয়া অভিযোগে এনেছে তারা স্মার্টফোন, ট্যাবলেট এবং অন্যান্য যে সকল ইলেক্ট্রনিক পণ্য তৈরি করছে তা নোকিয়ার পেটেন্ট লঙ্ঘন করেছে। নোকিয়ার এমন অভিযোগই তদন্ত করার কথা জানিয়েছে ট্রেড কমিশন, তথ্য রয়টার্স-এর।
৩২টি প্রযুক্তি পেটেন্ট লঙ্ঘনের অভিযোগে অ্যাপলের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা দায়ের করেছে নোকিয়া।
জার্মানির ডুসেলডর্ফ, ম্যানহেইম ও মিউনিখ আর যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসের এক জেলা আদালতে ডিসপ্লে, ইউজার ইন্টারফেইস, সফটওয়্যার, অ্যান্টেনা, চিপসেট ও ভিডিও কোডিংয়ের পেটেন্ট নিয়ে এই মামলাগুলো দায়ের করা হয়।
এক বিবৃতিতে নোকিয়া জানায়, “২০১১ সাল থেকে নোকিয়া টেকনোলজিস-এর পোর্টফলিও থেকে কিছু পেটেন্ট নিয়ে লাইসেন্স করতে সম্মত হওয়ার পর অ্যাপল নোকিয়ার পক্ষ থেকে দেওয়া অন্যান্য পেটেন্টগুলোর লাইসেন্স করার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিলেও পরে এই পেটেন্ট করা উদ্ভাবনগুলো অ্যাপলের অনেক পণ্যে ব্যবহার করা হয়েছে।”
এর কিছু দিন পরই অ্যাপলের বিরুদ্ধে নতুন আরও কয়েকটি পেটেন্ট মামলা করে নোকিয়া। ২২ ডিসেম্বর এশিয়া, ইউরোপ, আর যুক্তরাষ্ট্রে নতুন এই মামলাগুলো করা হয়।
পেটেন্ট সংক্রান্ত দ্বন্দ্বের পরপরই ২৫ জানুয়ারি নোকিয়ার মালিকানাধীন উইথিংস-এর কোনো না বেচার ঘোষণা দেয় অ্যাপল।
আগের দুই বছর ধরে একটি খুচরা জোটের অংশ হিসেবে ফ্রান্সভিত্তিক ইলেকট্রনিকস প্রতিষ্ঠান উইথিংসের আইওএস-এরসঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ কিছু পণ্য অ্যাপল স্টোরে পাওয়া যেত, এগুলোর মধ্যে অধিকাংশই স্বাস্থ্য সংক্রান্ত। ২০১৬-এর এপ্রিলে নোকিয়া ১৯ কোটি ডলারের বিনিময়ে ফিনিশ প্রতিষ্ঠানটিকে অধিগ্রহণের পরও এই বিক্রি অব্যাহত ছিল।
এ যাবত মামলার বিষয়ে তেমন কিছু জানায়নি মার্কিন ইন্টারন্যাশনাল ট্রেড কমিশন। এবার তদন্তের ঘোষণা দেওয়া হলেও এখনও মামলার ভিত্তির বিষয়ে কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি।