স্যামসাং গ্যালাক্সি নোট ৭-এর ব্যাটারি দুর্ঘটনার কারণেই এতে বাড়তি নিরাপত্তা যোগ করার বিষয়ে চিন্তা ভাবনা করা হচ্ছে, জানিয়েছে রয়টার্স।
মার্কিন সংস্থার ভোক্তাপণ্য নিরাপত্তা কমিশনের চেয়ারম্যান এলিয়ট কেই বলেন, “গ্রাহকদের কখনও এমন দুশ্চিন্তা করা উচিত নয় যে ব্যাটারিচালিত একটি ডিভাইস নিজের, তাদের পরিবারের বা তাদের সম্পত্তির জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে।”
আগের বছর সেপ্টেম্বরে ব্যাটারিতে আগুন লাগার কারণে গ্যালাক্সি নোট ৭ ফেরত নেয় দক্ষিণ কোরীয় ইলেক্ট্রনিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান স্যামসাং। প্রথম দিকে ফোন বদলে দেয় প্রতিষ্ঠানটি। তবে, বদলে দেওয়া ডিভাইসেও একই সমস্যা দেখা দিলে বাজার থেকে ডিভাইসগুলো চিরতরে উঠিয়ে নিতে বাধ্য হয় প্রতিষ্ঠানটি।
এরপরই এ সমস্যার কারণ খতিয়ে দেখতে তদন্ত শুরু করে স্যামসাং। ২৩ জানুয়ারি তদন্তের ফলাফল প্রকাশ করে প্রতিষ্ঠানটি।
প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এক সংবাদ সম্মেলনে গ্যালাক্সি নোট ৭ স্মার্টফোন মাত্রাতিরিক্ত গরম হয়ে যাওয়া ও এতে আগুন ধরে যাওয়ার পেছনে এর লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিকে দায়ী করা হয়।
স্যামসাং কর্মকর্তারা জানান, হাজার হাজার ডিভাইস ও ব্যাটারি নিয়ে সামগ্রিক পরীক্ষা চালানোর পর ডিভাইসটির হার্ডওয়্যার ও সফটওয়্যারে কোনো ত্রুটি থাকার ধারণা বাতিল করে দিয়েছে। কিন্তু অভ্যন্তরীণ ও স্বাধীন তদন্তে “নোট ৭ ঘটনার জন্য ব্যাটারিগুলো দায়ী ছিল” বলে সিদ্ধান্ত পাওয়া গেছে বলেও জানান তারা।
ব্যাটারিজনিত এই দুর্ঘটনার যাতে আর পুনরাবৃত্তি নয়া হয় সে জন্য এবার বাড়তি সতর্কতা নিচ্ছে মার্কিন সংস্থা। স্মার্টফোনের লিথিয়াম আয়ন ব্যাটারিতে নতুন মানদণ্ড আনতে একসঙ্গে কাজ করছে মার্কিন ভোক্তা নিরাপত্তা নীতি নির্ধারক এবং স্যামসাং।
কেই বলেন, “অল্প হলেও প্রতিষ্ঠানগুলোকে এই অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নেওয়া উচিত এবং গ্রাহকের নিরাপত্তা বাড়াতে নকশা এবং উৎপাদনকালে আরও বেশি সতর্কতা অবলম্বন করা উচিত।”