ইন্টারনেট প্রযুক্তিতে চীনকে বিশ্বের মূল শক্তিগুলোর একটি বানানোর উদ্দেশ্যেই এই খাতে বিনিয়োগ বাড়াচ্ছে দেশটি, জানিয়েছে রয়টার্স।
নেট খাতে দেশটির এত পরিমাণ বিনিয়োগ এবারই প্রথম নয়। এর আগেও এই খাতের জন্য তিন হাজার কোটি ইউয়ান সংগ্রহ করেছে দেশটি। চীনের মূল ব্যাংক, আইসিবিসি-সহ অন্যান্য টেলিযোগাযোগ প্রতিষ্ঠান, চায়না মোবাইল এবং চায়না ইউনিকম-এর কাছ থেকে এই তহবিল সংগ্রহ করা হয়।
এ ক্ষেত্রে যে সব প্রতিষ্ঠান এই তহবিলে বিনিয়োগ করেছে তারা ১৫ হাজার কোটি ইউয়ান পর্যন্ত ক্রেডিট সুবিধা পাবেন বলেও জানানো হয়েছে।
চলতি মাসের শুরুতেই চীনা ‘তথ্য অবকাঠামো’ খাতে ১২০১৫০ কোটি ইউয়ান বিনিয়োগ করার কথা জানিয়েছে দেশটি। ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এই বিনিয়োগ করা হবে বলেও জানানো হয়।
সাম্প্রতিক সময়ে অন্যান্য প্রযুক্তি খাতেও চীনা আধিপত্য বাড়তে দেখা গেছে। এমনকি সুপারকম্পিউটার প্রতিযোগিতায়ও নেতৃত্বস্থানীয় দেশ হিসেবে জায়গা করে নিচ্ছে চীন। ২০১৬ সালে দেশটি বিশ্বের দ্রুততম সুপারকম্পিউটার ‘সানওয়ে টাইহুলাইট’ উন্মোচন করে।
দেশটির সরকার বিশ্বের প্রথম প্রোটোটাইপ এক্সাস্কেল কম্পিউটার তৈরির কাজ শেষ করতে যাচ্ছে, যা প্রতি সেকেন্ডে কয়েকশ কোটি হিসাব করতে সক্ষম হবে।
চলতি বছরের শেষের দিকে এই কম্পিউটার তৈরির কাজ শেষ হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির ন্যাশনাল সুপারকম্পিউটার সেন্টারের প্রকৌশলী ঝাং টিং। কিন্তু শেষ হলেও এটি চালু করতে আরও অনেক বছর সময় লাগবে বলে জানানো হয়েছে।