চলতি বছরের শেষে একটি স্বপ্রক্রিয়া ব্যবস্থা আনতে দেশটির ডিপার্টমেন্ট অফ ইমিগ্রেশন অ্যান্ড বর্ডার প্রটেকশন টেন্ডার আহবান করেছে, অস্ট্রেলীয় সংবাদমাধ্যম এবিসি নিউজ-এর বরাতে জানিয়েছে আইএএনএস।
এই নিরাপত্তা ব্যবস্থায় দেশটির বড় বিমানবন্দর ও সমুদ্রবন্দরগুলোতে আঙ্গুলের ছাপ, চোখের আইরিশ বা মুখের গঠন শনাক্তকরণ প্রযুক্তি ব্যবহার করা হবে।
অভিবাসন মন্ত্রী পিটার ডাটন জানান, এই পরিবর্তনে লক্ষ্য হচ্ছে ৯০ শতাংশেরও বেশি যাত্রীকে কাগজ কলমের কাজ ও কর্মীদের মাধ্যমে করানো ম্যানুয়াল কাজ থেকে রেহাই দেওয়া। রোববার তিনি বলেন, “যেখানে মানুষদের এখনও তাদের পাসপোর্ট ব্যবহার করতে হয়, হয়তো একটা লম্বা সময় পর তাদের আর পাসপোর্ট রাখতে হবে না। আর এই মূহুর্তে, এই ব্যবস্থা আমাদের বিমানবন্দর দিয়ে আসা যাওয়া করা লোকদের প্রক্রিয়া দ্রুত ও সহজ করবে।”
এই ব্যবস্থার আওতায় বর্তমানে ব্যবহৃত বৈদ্যুতিক উপায়ে পাসপোর্ট স্ক্যান করতে ব্যবহৃত স্মার্টগেইট থাকবে না। এই স্মার্টগেইট প্রযুক্তি আনার পর এক দশকও পার হয়নি, বলা হয়েছে আইএএনএস-এর প্রতিবেদনে।
ডাটন জানান, ৭৮ মিলিয়ন ডলারের এই আপগ্রেডের ফলে দেশটির সীমান্ত নিরাপত্তাও বাড়বে।
২০১৫ থেকে ২০১৬ সালের মধ্যে অস্ট্রেলিয়ান বর্ডার ফোর্স-এর প্রক্রিয়ার মাধ্যমে চার কোটি লোক যাতায়াত করেছে, প্রতিবেদনটিতে ব্রিটিশ দৈনিক গার্ডিয়ান-এর বরাতে এই তথ্য দেওয়া হয়েছে।