রয়টার্স জানায়, শুক্রবার মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের দক্ষিণ ক্যালিফোর্নিয়া জেলা আদালতে দাখিল করা এ মামলায় অ্যাপল কোয়ালকমের বিরুদ্ধে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের কাছে মডেম চিপ প্রযুক্তি লাইসেন্সকরণে অস্বীকৃতি জানানো, চিপের অতিরিক্ত মূল্য নির্ধারণ এবং প্রতিশ্রুত ছাড়ের ক্ষেত্রে শতকোটি ডলার পরিশোধে অস্বীকৃতি জানানো, একই চিপের জন্য পৃথক লাইসেন্সিং ফি দাবি এবং ইনটেল চিপসেটে তৈরি অ্যাপল ডিভাইসের ক্ষেত্রে বিক্রি ও সেবা প্রদান বন্ধের জন্য নেটওয়ার্ক ক্যারিয়ার প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাপে রাখার অভিযোগ আনে।
অ্যাপলের পক্ষ থেকে আরও বলা হয়, "কোয়ালকম এসব পাওনা পরিশোধের বদলে কেএফটিসি (কোরিয়া ফেয়ার ট্রেড কমিশন)-এর কাছে অ্যাপলের অবস্থান পরিবর্তন এবং মিথ্যা তথ্য পরিবেশনে বাধ্য করার চেষ্টা করে। অ্যাপল এতে অস্বীকৃতি জানায়।"
অন্যদিকে, অ্যাপলের এ অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দিয়েছেন কোয়ালকমের কাউন্সেল জেনারেল ডন রোজেনবার্গ। এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, "অ্যাপল প্রত্যক্ষভাবেই বিভিন্ন অজুহাতে তথ্য গোপন রাখা এবং বিকৃতভাবে উপস্থাপনের মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী কোয়ালকমের ওপর আক্রমণে মদদ দিয়ে যাচ্ছে, যেমনটা দেখা গেছে সাম্প্রতিক কেএফটিসি সিদ্ধান্ত এবং এফটিসি অভিযোগের ক্ষেত্রে। আমরা এসব ভিত্তিহীন অভিযোগকে আদালতেই স্বাগতম জানাব, যেখানে আমরা অ্যাপলের পূর্ণাঙ্গ কার্যক্রম ও এর ভিত্তির ব্যাপক বিশ্লেষণের সুযোগ পাব।"
রয়টার্স জানায়, কোয়ালকমের বিরুদ্ধে এ ধরনের অভিযোগ এই প্রথম নয়। ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে অনৈতিক পেটেন্ট লাইসেন্সিং কার্যক্রম চালানোর অভিযোগে প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে কেএফটিসি ৮৫ কোটি ৪০ লাখ এবং সে বছর ফেব্রুয়ারিতে চীনের বাজারে একক আধিপত্য নিশ্চিত করতে ক্ষমতা অপব্যবহারের অভিযোগে দেশটি ৯৭ কোটি ৫০ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা ধার্য করে। এ ছাড়াও মঙ্গলবার মার্কিন ফেডারেল ট্রেড কমিশন (এফটিসি) প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে একই ধরনের অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করে, যাতে আদালতে এফটিসি-এর মুখোমুখি হওয়ার ঘোষণা দিয়েছে কোয়ালকম।
আইফোন ৭ বাজারে আসার আগ পর্যন্ত অ্যাপলের একক মডেম চিপ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে এ অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এর শেয়ারমূল্য ২.৪ শতাংশ পড়ে গেছে, আর অ্যাপলের বর্তমান প্রধান চিপ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইনটেল-এর শেয়ারমূল্য এক শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।