মার্কিন বিচার বিভাগের সঙ্গে কাজ করে থাকে এফটিসি। প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয়েছে ফোনের নির্ধিষ্ট কিছু চিপ সরবরাহে বাজারে নিজের প্রভাবশালী অবস্থান ব্যবহার করে কোয়ালকম এই চিপ সরবরাহ এবং লাইসেন্সিংয়ের ক্ষেত্রে ‘গুরুভার’ নিজের প্রতিষ্ঠানের কাছে রাখছে। স্মার্টফোন নির্মাতা প্রতিষ্ঠানগুলোকে সেভাবেই লাইসেন্সিংয়ের শর্ত দিচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। এর মাধ্যমে বাজারে অন্যান্য প্রতিযোগীদের দূর্বল করার অভিযোগ উঠেছে বলে জানিয়েছে, রয়টার্স।
এই মামলার প্রেক্ষিতে কোয়ালকম-এর পক্ষ থেকে বলা হয় তারা এই অভিযোগের বিরুদ্ধে “জোর লড়াই” করবে। আর এফটিসি-এর পক্ষ থেকে অযৌক্তিকভাবে লাইসেন্সিং ফি নেওয়ায় প্রতিষ্ঠানটির চিপ আটকিয়ে দেওয়ার হুমকি দেওয়া হলে তাও নাকচ করে দিয়েছে কোয়ালকম।
এ দিকে খবর প্রকাশের দিন কোয়াককম-এর শেয়ার মূল্য চার শতাংশ কমে ৬৪.১৯ মার্কিন ডলারে দাঁড়িয়েছে।
এফটিসি-এর এক বিবৃতিতে বলা হয়, “কোয়ালকম-এর গ্রাহকরা উচ্চ রয়্যালটি গ্রহণ করেছে এবং অন্যান্য লাইসেন্সিং শর্ত মেনে নিয়েছে যা আদালাত এবং অন্যান্য নিরপেক্ষ প্রতিষ্ঠান ন্যায্য এবং যৌক্তিক বলে মনে করে না।” কোয়ালকম-এর এ ধরনের কৌশল বন্ধ করতেই আদালতের কাছে অভিযোগ জানিয়েছে এফটিসি।
এফটিসি’র অভিযোগের প্রেক্ষিতে কোয়ালকম-এর জেনারেল কাউন্সেল ডন রোজেনবার্গ বলেন, “আমরা ফেডারেল আদলতে আমদের ব্যবসাকে রক্ষা করবো, সেখানে আমরা আত্মবিশ্বাসী এবং আমরা জয়ী হব।”
আগের বছর ডিসেম্বরে অন্যায্য ব্যবসায়িক কৌশলের কারণে কোয়ালকম-কে ৮৫ কোটি ৪০ লাখ মার্কিন ডলার জরিমানা করেছে দক্ষিণ কোরীয় অ্যান্টিট্রাস্ট নীতিনির্ধারক। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয় তারা আদালতের এই রায়কে চ্যালেঞ্জ করবে।
২০১৫ সালের ফেব্রুয়ারিতে চীনে সাড়ে ৯৭ কোটি মার্কিন ডলার জরিমানা দিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।