নিজের আগুন নিজেই নেভাবে ব্যাটারি

স্যামসাংয়ের গ্যালাক্সি নোট ৭-এর ব্যাটারির বিস্ফোরণ আর অগ্নিঝুঁকির বিষয়টি এখনও খুব পুরানো হয়নি। ২০১৬ সালে ভালোই আলোচনায় ছিল এই বিষয়। এবার এমন সমস্যা সমাধানে নতুন লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি বানিয়েছেন গবেষকরা।

প্রযুক্তি ডেস্কবিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম
Published : 17 Jan 2017, 12:28 PM
Updated : 17 Jan 2017, 12:28 PM

এই ব্যাটারিতে রাখা হয়েছে অগ্নিনির্বাপক উপাদান। ব্যাটারি বেশি উত্তপ্ত হয়ে গেলে এই উপাদান বাইরে বের হয়ে আসবে। ব্যাটারির একটি শেলের ভেতরে ইলেক্ট্রোলাইট ফ্লুয়িড-এর মধ্যে রাখা হয়েছে অগ্নি নির্বাপক ট্রাইফিনাইল ফসফেট (টিপিপি)। তাপমাত্রা ১৫০ ডিগ্রি সেলসিয়াস হয়ে গেলে এই শেল গলে যায় ও অগ্নিনির্বাপক রাসায়নিক উপাদান বাইরে ছেড়ে দেয়।

এ নিয়ে চালানো পরীক্ষায় ব্যাটারির আগুন ০.৪ সেকেন্ডে নিভে যায় বলে জানিয়েছে বিবিসি। লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারিগুলো অনেক ডিভাইসে শক্তি সরবরাহে ব্যবহৃত হলেও বরাবরই এটি নিয়ে অগ্নিঝুঁকি রয়েছে।

যুক্তরাষ্ট্রের স্ট্যানফোর্ড ইউনিভার্সিটি-এর এক গবেষক দলের করা এই গবেষণা সায়েন্স অ্যাডভান্সেস জার্নালে প্রকাশিত হয়েছে।

এর আগে ব্যাটারিতে শেল ছাড়াই টিপিপি সংযুক্ত করার চেষ্টায় ব্যাটারির কার্যক্ষমতা কমে যায় বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যমটি। যদি কোনো লিথিয়াম-আয়ন ব্যাটারি কোষ খুব দ্রুত চার্জ হয় বা উৎপাদনে একটি ছোট ভুল থাকে, তবে এর ফলে শর্ট সার্কিট হয়ে যাতে পারে, যার ফলে আগুন ধরে যাওয়ার আশংকাও থাকে।

২০১৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে ইউএস ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেইফটি বোর্ড অ্যারোপ্লেন কার্গো-তে লিথিয়াম ব্যাটারি বহন নিয়ে সতর্কতা জারি করে। এক্ষেত্রে এই ব্যাটারিগুলোকে “আগুন ও বিস্ফোরণের উৎস” হিসেবে উল্লেখ করা হয়। 

বাজার বিশ্লেষণা প্রতিষ্ঠান আইএইচএস-এর জ্যেষ্ঠ বিশ্লেষক ইয়ান ফগ বলেন, “ব্যাটারি প্রযুক্তি উন্নত করার জন্য ব্যপক চাপ রয়েছে। এটি এমন একটি ক্ষেত্র যা মোবাইল ডিভাইস আর একই মাত্রার অন্যান্য পণ্যকে ধরে রেখেছে।”