প্রযুক্তি সাইট সিনেট-এর প্রতিবেদনে জানা যায়, চীনে মোট ব্যবহৃত ৫৫ কোটি স্মার্টফোনের মধ্যে ৭৫ শতাংশই গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেমচালিত। কিন্তু দেশটিতে গুগল প্লেস্টোর নিষিদ্ধ। এই শূন্যস্থান পূরণ করছে বাইদু আর টেনসেন্ট-এর মতো সেখানাকার স্থানীয় অ্যাপ স্টোরগুলো। এখন এই অ্যাপ স্টোরগুলো সরকারিভাবে নিয়ন্ত্রণ করা হবে- শুক্রবার এমনটা জানিয়েছে সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অফ চায়না।
অ্যাপ স্টোরগুলো সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা করা হচ্ছে না বলে এক ঘোষণায় দাবি করেছে সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন। নতুন এই নিয়ন্ত্রণের ফলে স্টোরগুলো ‘আরও নিরাপদ ও লাভজনক’ হবে বলে দাবি প্রতিষ্ঠানটির।
নিজেদের দেশে কীভাবে অ্যাপ স্টোরগুলো পরিচালনা করা হবে তার উপর সবসময়ই চীনা সরকারের হাত ছিল। চলতি মাসে মার্কিন প্রযুক্তি জায়ান্ট অ্যাপলের অ্যাপ স্টোর থেকে মার্কিন দৈনিক নিউ ইয়র্ক টাইমস-এর অ্যাপ সরিয়ে নিতে বলে দেশটি, আর তা সরিয়েও নেওয়া হয়। ২০১৬ সালে অ্যাপলকে আইটিউনস মুভিস আর আইবুকস সেবাও বন্ধ করে দিতে হয়।
২০১৬ সালে অ্যাপ নির্মাতাদের জন্য দেওয়া নতুন নীতিমালা অনুসরণ করেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হল। সে সময় সাইবারস্পেস অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অ্যাপ নির্মাতাদের জানিয়েছিল তাদেরকে ব্যবহারকারীর ৬০ দিনের কার্যক্রমের রেকর্ড রাখতে হবে, ব্যবহারকারীদের আসল নাম দিয়ে নিবন্ধন যাচাই করতে হবে, নিষিদ্ধ করা কনটেন্টগুলো পর্যবেক্ষণ করতে হবে ও ব্যবহারকারীর কোনো ব্যক্তিগত বা স্থানের তথ্য নেওয়ার আগে তাদের অনুমতি নিতে হবে।