বিবিসি জানিয়েছে, প্রতিষ্ঠানের একটি মডেলের ড্রোনের জন্য ইতোমধ্যেই ৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের প্রি-অর্ডার নেওয়া হয়েছে। গ্রাহকদেরকে একটি ইমেইল-এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে বলা হয় তারা স্টার্ট-আপ ড্রোন উৎপাদন শুরু করার জন্য বাড়তি তহবিল জোগাতে ব্যর্থ হয়েছে।
প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে নিশ্চয়তা দিয়ে বলা হয়েছে প্রি-অর্ডার করা গ্রাহকদেরকে ৬০ দিনের মধ্যে তাদের পাওনা পরিশোধ করা হবে। লিলি’র এই ড্রোনটি প্রথম এমন ড্রোন যা শূন্যে ছেড়ে দিলে ২০ মিনিট ধরে ব্যবহারকারীকে অনুসরণ করে তার ছবি তুলতে পারে।
প্রতিষ্ঠানের সহ-প্রতিষ্ঠাতা হেনরি ব্র্যাডলো এবং অ্যান্টনি ব্যালেরেসকিউ গ্রাহকদের বলেন, “আমরা এমন এক ঘড়ির বিরুদ্ধে প্রতিযোগিতা করছি যার তহবিল সর্বদা কমছেই। আগের কয়েক মাস যাবৎ আমরা নিরাপদ তহবিলের খোঁজ করেছি যাতে উৎপাদন শুরু করা যায় এবং প্রথম পণ্যগুলো সরবরাহ করতে পারি। কিন্তু আমরা তা করতে ব্যর্থ হয়েছি।”
“ফলাফলস্বরূপ আমরা এটি জানাতে গভীরভাবে দুঃখিত যে আমরা প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করার পরিকল্পনা করছি এবং গ্রাহকদেরকে অর্থ ফেরত দিচ্ছি,” যোগ করেন তারা।
২০১৫-এর মে মাসে ড্রোনটি উন্মোচন করা হয়। সে সময় দেখানো হয় এই ক্যামেরা ড্রোনটি বাতাসে ভেসে ব্যবহারকারীকে অনুসরণ করছে। এক্ষেত্রে পানি নিরোধী একটি ডিভাইস গ্রাহকের কব্জিতে লাগানো থাকে যা ড্রোনটি ট্র্যাক করে থাকে। পরবর্তীতে এই ভিডিওটি এক কোটি ২০ লাখ বার দেখা হয়।
২০১৬ এর ফেব্রুয়ারিতে ড্রোনটি বাজারে আসার কথা ছিল। পরবর্তীতে তারিখ দুইবার পিছিয়ে ২০১৭-এর শুরুতে আনা হয়। এবার তাতে ব্যর্থ হয়ে প্রতিষ্ঠান বন্ধেরই ঘোষণা দেওয়া হল।