১৭ ডিসেম্বর মধ্যরাতের আগে শুরু হওয়া এই ‘ব্ল্যাকআউট’ হয় এক ঘণ্টার কিছু বেশি সময় ধরে ছিল বলে জানিয়েছে বিবিসি।
সাইবার-নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠান ইনফরমেশন সিস্টেমস সিকিউরিটি পার্টনারস (আইএসএসপি) এই ঘটনার সঙ্গে ২০১৫ সালের হ্যাক ও ব্ল্যাকআউট ঘটনার সম্পৃক্ততা রয়েছে বলে জানিয়েছে। ২০১৫ সালের ওই ঘটনায় সোয়া দুই লাখ লোক আক্রান্ত হয়েছিল। শুধু তাই নয় এর সঙ্গে সাম্প্রতিক সময়ে ইউক্রেনে হওয়া অন্যান্য সাইবার আক্রমণগুলোরও সম্পর্ক রয়েছে বলে জানিয়েছে তারা।
ইউক্রেন-এর জাতীয় শক্তি সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান ইউক্রেনার্গো ২০১৬ সালের বিদ্যুৎ বিভ্রাটের সময় জানায়, ওই ঘটনায় রাতে কিয়েভ-এর শক্তি ব্যবহারে প্রায় একপঞ্চমাংশ ক্ষতি হয়েছিল। রাজধানীর বাইরে অবস্থিত প্রিভনিশনা সাবস্টেশন এই ব্ল্যাকআউটে ক্ষতিগ্রস্থ হয় আর শহরের একটি অংশের বাসিন্দারা রাত ১টার পর কিছু সময় ধরে বিদ্যুৎ ছাড়া ছিলেন।
আঞ্চলিক একটি বিদ্যুৎ সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান বড় হ্যাকিং চালানোর ঠিক এক বছর পর এই সাইবার আক্রমণ ঘটে। পরে এই সাইবার আক্রমণের জন্য রাশিয়ার নিরাপত্তা সংস্থাকে দায় দেওয়া হয়।
আইএসএসপি ল্যাবস-এর প্রধান ওলেকসি ইয়াসস্কি বলেন, “২০১৬ আর ২০১৫-এর আক্রমণের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য নেই- একমাত্র তফাৎ হচ্ছে ২০১৬-এর আক্রমণ আরও বেশি ও গোছানো ছিল।” এক্ষেত্রে আলাদা অপরাধী দলগুলো একত্র হয়েছে বলেও জানান তিনি।