মঙ্গলবার দেশটির বিশেষ প্রসিকিউশন অফিসের পক্ষ থেকে বলা হয় সরকারী কেলেংকারি তদন্তের পরিধি বাড়াতে ওই দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করা হবে কিনা সে বিষয়ে এখন পর্যন্ত কোনো সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়নি, তথ্য রয়টার্স-এর।
খবর প্রকাশের দিন সকালে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক সূত্রের বরাত দিয়ে দক্ষিণ কোরীয় সংবাদমাধ্যম ইয়নহাপ নিউজ এজেন্সি জানায় প্রসিকিউশন স্যামস্যাংয়ের দুই কর্মকর্তাকে গ্রেফতার করতে পারে।
কিন্তু পরবর্তীতেত প্রসিকিউটর অফিস থেকে রয়টার্স-কে জানানো হয়, স্যামস্যাং গ্রুপ এর ভাইস চেয়ারম্যান চোই গি-সাং এবং প্রেসিডেন্ট চ্যাং চং-কি কে আগের দিন প্রশ্ন করা হয়েছে সাক্ষী হিসেবে।
সোমবার এই দুই ব্যক্তিকে দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাদের দূর্নীতির তদন্তে প্রশ্ন করতে ডেকে নেয় আইন শৃংখলা বাহিনী। তদন্তকারীরা খুঁজে বের করার চেষ্টা করছেন স্যামসাংয়ের দুই অনুমোদনকারীর একত্রীকরণ প্রক্রিয়া যা বেশ সমালচিত হয়েছিল তা সম্পন্ন করতে দেশটির উচ্চপদস্থ কর্মকর্তাগণ ঘুষ নিয়েছেন কিনা? ঘুষ নিয়ে দক্ষিণ কোরীয় ভাতা তহবিল হতে এই একত্রীকরণ প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা হয়েছে কিনা তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।
কেলেংকারির দায়ে পদত্যাগ করলে প্রেসিডেন্ট পার্ক-ই হবেন দেশটির প্রথম এমন গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত প্রেসিডেন্ট যিনি এতো তাড়াতাড়ি পদ ছাড়ছেন। আগে বছর ডিসেম্বরে তার বিরুদ্ধে কেলেংকারির অভিযোগে সংসদে ভোট দেওয়া হয়। কিন্তু দক্ষিণ কোরিয়ার আইন অনুযায়ী এই সিদ্ধান্ত অবশ্যই দেশটির সাংবিধানিক আদালত-এর দ্বারা অনুমোদিত বা নাকচ করা জরুরী।