মার্কিন সাময়িকী ফরচুন জানিয়েছে, সংঘর্ষ হলেও প্লেনের ৮০ জন যাত্রীর কারো কোনো হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি। সংঘর্ষের সময় প্লেনটি তেতে এয়ারপোর্টে অবতরণের জন্য প্রস্তুত হচ্ছিল।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, অবতরণের সময় প্লেনটির পাইলটরা সংঘর্ষের শব্দ পান। কিন্তু তারপরও প্লেনটি স্বাভাবিকভাবে উড়তে থাকে।
প্রথমিকভাবে ধারণা করা হয়েছিল কোনো পাখির সঙ্গে ধাক্কা লেগেছে। কিন্তু অবতরণের পর তদন্তে দেখা গেছে তা ছিল ড্রোন। ড্রোনটি গ্রাহকের জন্য প্রযোজ্য কোয়াডকপ্টারের চেয়ে বড় আকারের ছিল বলে জানানো হয়। প্লেনটি অবতরণের পর যাত্রীদের অন্য প্লেনে সরিয়ে নেওয়া হয়।
প্লেনের সঙ্গে ড্রোনের সংঘর্ষের ঘটনা এবারই প্রথম নয়। আগের বছর এপ্রিলে লন্ডনের হিথ্রো এয়ারপোর্টেও একই ঘটনা দেখা গেছে। সে সময়ও প্লেনটি অবতরণের চেষ্টা করছিল। এ ছাড়াও এর আগে বেশ কয়েকটি প্লেন অল্পের জন্য ড্রোনের সংঘর্ষের থেকে বেঁচে গিয়েছে।
বর্তমানে ড্রোনের ব্যবহার বেড়ে যাওয়ায় প্রতিনিয়ত বেড়ে যাওয়ায় বাড়ছে ঝুঁকিও। সস্তা এবং সহজলভ্য হওয়ায় কারণে অনেকেই শখের বশে ড্রোন কিনে থাকেন।
ড্রোনের এই দূর্ঘটনা এড়াতে ইতোমধ্যেই বিভিন্ন দেশে নতুন নীতিমালা চালু করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রে ৪০০ ফুটের নিচে ড্রোন উড়ানোর নিয়ম করেছে মার্কিন ফেডারেল এভিয়েশন অথরিটি (এফএএ)। আর এয়ারপোর্টের পাঁচ মাইলের মধ্যেও ড্রোন উড্ডয়নের নিষেধাজ্ঞা রয়েছে দেশটিতে।