নোকিয়া ৬ নামের নতুন এই স্মার্টফোনে ব্যবহার করা হয়েছে ওয়েব জায়ান্ট গুগলের অ্যান্ড্রয়েড অপারেটিং সিস্টেম আর এর উৎপাদনকারী হচ্ছে তাইওয়ানভিত্তিক ইলেকট্রনিক পণ্য নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফক্সকন। এই স্মার্টফোন শুধু চীনেই সেদেশীয় ই-কমার্স সাইট জেডি ডটকম থেকে কেনা যাবে বলে জানিয়েছে এইচএমডি।
এক বিবৃতিতে এইচএমডি জানায়, “এইচএমডি’র প্রথম অ্যান্ড্রয়েড স্মার্টফোন চীনে ছাড়ার সিদ্ধান্তে বিশ্বব্যাপী বিভিন্ন বাজারের গ্রাহকদের আসল চাহিদা মেটানোর ইচ্ছা প্রতিফলিত হয়… এটি কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ বাজার।”
মোবাইল ডিভাইস রিভিউদাতা সাইট জিএসএমঅ্যারেনা জানিয়েছে, অ্যান্ড্রয়েড ৭.০ নুগাট ব্যবহার করা এই স্মার্টফোনের বডি অ্যালুমিনিয়ামে তৈরি। এতে ব্যবহার করা হয়েছে অক্টা-কোর কর্টেক্স-এ৫৩ এর সঙ্গে স্ন্যাপড্রাগন ৪৩০ চিপসেট, অ্যাড্রিনো ৫০৫ জিপিইউ এবং ৪জিবি র্যাম। ৫.৫ ইঞ্চির ১০৮০ পিক্সেল স্ক্রিনের উপরে ব্যবহার করা হয়েছে ২.৫ডি গরিলা গ্লাস। এর ১৬ মেগাপিক্সেল পেছনের ক্যামেরা ও ৮ মেগাপিক্সেল ফ্রন্ট ক্যামেরা, রয়েছে ৬৪ জিবি স্টোরেজ।
এক সময় বিশ্বব্যাপী সেলফোন বাজারে আধিপত্য বজায় রেখেছিল নোকিয়া। স্মার্টফোনের যুগে প্রতিষ্ঠানটির তাদের ‘লুমিয়া’ সিরিজের জন্য মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম বেছে নেয়।
২০১৪ সালে নিজেদের হ্যান্ডসেট ব্যবসায় মাইক্রোসফটের হাতে দেওয়ার মাধ্যমে স্মার্টফোন ব্যবসায় ইতি টানে নোকিয়া। এরপর থেকেই শুধুই মোবাইল নেটওয়ার্ক সামগ্রীতে নজর ছিল ফিনিশ প্রতিষ্ঠানটির। মাইক্রোসফট নিজেদের নামে লুমিয়া স্মার্টফোন বিক্রি অব্যাহত রাখলেও চলতি বছর তাও বন্ধ করে দেওয়া হয়।
২০১৬ সালের ডিসেম্বরে নোকিয়া ব্র্যান্ডনামে বেসিক কিছু মডেল ছাড়ে এইচএমডি। সে সময় প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ফ্লোরিয়ান সিশে বলেন, “১৫০ বছরের ইতিহাস নিয়ে নোকিয়া ব্র্যান্ড একটি সত্যিকারের ব্র্যান্ড। বিশ্বের প্রতিটি কোণায় এটি একটি সত্যিকারের মোবাইল ফোন ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিত।”
সিশে এর আগে সিমেন্স, অরেঞ্জ, এইচটিসি আর নোকিয়ায় কাজ করেছেন।
চলতি বছরের মধ্যভাগে আরও কিছু পণ্য বের করা হতে পারে বলেও আভাস দিয়েছে এইচএমডি।