এই পদক্ষেপের ফলে ৩০ জনেরও বেশি কর্মীকে অব্যাহতি দেওয়া হবে। রোবট আর মেশিন মানুষের কর্মসংস্থান সরিয়ে দেবে- এমন পরিবর্তন আসার ক্ষেত্রে এই ঘটনাকে স্পষ্ট উদাহরণ হিসেবে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ব্রিটিশ দৈনিক ইন্ডিপেনডেন্ট।
কর্মস্থানে আরও রোবট আনার মাধ্যমে ক্রমেই হ্রাস পেতে থাকা ও বার্ধক্যের দিকে যেতে থাকা জনসংখ্যা সমস্যা মোকাবেলার আশা করছে জাপান। আর ফুকোকু মিউচুয়াল লাইফ ইনসুরেন্স নামের ওই প্রতিষ্ঠানটির দাবি এই বিনিয়োগের মাধ্যমে তারা দুই বছর পর থেকে কর্মীদের বেতন দেওয়ার হাত থেকে বেঁচে যাবে।
নতুন এই সংযোগ করা কম্পিউটার সিস্টেমটির কাজ হবে কতজন নীতিনির্ধারককে অর্থ পরিশোধ করা উচিৎ তা হিসাব করা। বর্তমানে প্রতিষ্ঠানটির এই কাজ কর্মীরা করে থাকেন, তাদের জায়গায় এখন আইবিএম-এর ওয়াটসন এক্সপ্লোরার নামের কম্পিউটারটি কাজ করবে। এই কম্পিউটারে মেশিন লার্নিং প্রযুক্তি ব্যবহার করা হয়েছে, এটি মানুষের মতো চিন্তা করবে ও শিখবে। এটি মেডিকেল সনদ আর কেউ কতদিন হাসপাতালে ছিলেন তার প্রতিবেদন পড়তে ও বুঝতে পারবে।
এর মাধ্যমে প্রতিষ্ঠানটি বছরে ১৪ কোটি ইয়েন বা ১০ লাখ পাউন্ড বাঁচাতে পারবে। আর এই সিস্টেমটির জন্য ১৪ লাখ পাউন্ডের মতো খরচ হবে আর এটি চালাতে এক লাখ পাউন্ড খরচ হবে।
অন্যান্য জাপানি প্রতিষ্ঠানগুলোও ইতোমধ্যে একই ধরনের সিস্টেম আনার পরিকল্পনা করেছে। কয়েকটি প্রতিষ্ঠান এমন ইতোমধ্যে এমন সিস্টেম চালু করলেও তারা এখনও কোনো কর্মী ছাঁটাই করেনি।